অস্বস্তিকর বিতর্কে পড়তে কার ভাল লাগে বলুন তো? তবে না-চাইলেও অনেক সময় এমন বহু বিতর্ক তৈরি হয়ে যায় যাতে বিব্রত হতে হয়। আর খ্যাতনামী হলে তো কথাই নেই! ব্যক্তিগত জীবনের নানা খুঁটিনাটি দিকে জোরালো আলো ফেলে তা টেনে বার করার চেষ্টা করা হয়। বলিউডের বহু তারকার মতো এমন বহু অস্বস্তিকর বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও।
মডেলিং থেকে ‘বিশ্বসুন্দরী’-র খেতাব। তার পর বলিউডের নায়িকা। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে হলিউড। তা ছাড়িয়ে কান ফিল্মোৎসবের রেড কার্পেটে দাঁড়ানো। নিজের কেরিয়ারে বহু সোনালি মুহূর্ত দেখেছেন অমিতাভ বচ্চনের পূত্রবধূ। একই সঙ্গে অস্বস্তিকর বিতর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক বার।
কখনও গভীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে ‘প্রেমিক’ সলমনের চিৎকার-চেঁচামেচি। কখনও বা স্বামী অভিষেক বচ্চনের সামনেই একমঞ্চে অজয় দেবগণের ‘চুমু’। আবার এক সময় খোদ অমিতাভের সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ নিয়ে জল্পনা। এমন সব অস্বস্তিকর বিতর্কে জড়ালে কার মেজাজ ঠান্ডা থাকে বলুন তো? এ সব বিতর্কে ঐশ্বর্যারও মেজাজ বিগড়ে যেতে বাধ্য। তাঁর ভক্তরা হামেশাই এ কথা বলেন।
সলমন খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যার সম্পর্ক নিয়ে এক সময় কম জলঘোলা হয়নি। শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ফিল্মে একসঙ্গে কাজ করার সময় ডেটিং করছিলেন তাঁরা। ২০০১ সালে সে জুটি ভেঙে খানখান। তার আগে অবশ্য সলমনকে জড়িয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন ঐশ্বর্যা।
সলমনের বিরুদ্ধে তাঁকে ধোঁকা দেওয়া, শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগও করেছিলেন। যদিও তা মানতে নারাজ সলমন। ব্রেক-আপের আগে এক বার নাকি রাত ৩টের সময় ঐশ্বর্যার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি করেছিলেন সল্লু মিয়াঁ। ঐশ্বর্যার দরজা ধাক্কাতেও অনেকে তাঁকে দেখেছিলেন বলেও দাবি।
সলমন ছাড়া অজয়কে নিয়েও কম বিব্রত হননি ঐশ্বর্যা। তখন সলমন অতীত। অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে ঘরকন্না করছেন। একটি অনুষ্ঠানে অভিষেকের সামনেই ঐশ্বর্যাকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেন অজয়, যা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। পেজ থ্রি-র পাতায় ওই ছবি দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, ঐশ্বর্যাকে চুমু খাচ্ছেন অজয়।
অমিতাভের সঙ্গে তিনি নাকি ‘ডেটিং’ করছেন। কানাঘুষোয় এমনও শুনেছেন ঐশ্বর্যা। একটি বলিউডি ইভেন্টে দু’জনের ছবি ভাইরালও হয়েছিল।
বিতর্ক তো খ্যাতনামীদের জীবনের অঙ্গ। অনেকে এমন কথা বলতেই পারেন। তবে অস্বস্তিতে পড়লে কার ভাল লাগে বলুন তো? ফের অস্বস্তিতে পড়েন ঐশ্বর্যা। এ বার অবশ্য পড়শি দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে জড়িয়ে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নাকি ঐশ্বর্যাকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে পাক প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁর বাসভবনে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে পারর্ফম করার জন্যই ওই টাকা নিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। এ দাবি নাকি করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ মাসুদ।
ওই ‘ঘটনা’র সময় পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ চ্যাট শো করতে মাসুদ। এ দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, ওই চ্যাট শোয়ে এ কথা বলেছেন তিনি। জারদারির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে পাক প্রেসিডেন্টের বাসভবনের অনুষ্ঠানে এক রাতে নৃত্য পরিবেশনা করেন ঐশ্বর্যা। সে জন্যই নাকি তাঁকে ১০ কোটি টাকা দেন জারদারি।
সত্যি কি মিথ্যা তা জানা নেই। তবে মাসুদের দাবি ঘিরে পাকিস্তানের অনেকেই হতবাক। শোনা যায়, গোটা বিতর্কে মুখ না খুললেও তাতে আহত হয়েছেন ঐশ্বর্যা।
নিজের দাবি সত্ত্বেও এ নিয়ে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি মাসুদ। ওই ‘তথাকথিত অনুষ্ঠান’-এর কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম করতে পারেননি তিনি। তবে চ্যাট শো-এ মাসুদ যে এ কথা করেছেন, তার ভিডিয়ো নিজেদের জিম্মায় রয়েছে বলে দাবি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।