বয়সের অঙ্ক ৫৭-এর ঘরে রয়েছে। বলিপাড়ার ‘ভাইজান’ সলমন খান এখনও ‘সিঙ্গল’। তবে কানাঘুষো শোনা যায়, সলমনের প্রেমিকার তালিকা অনেকটাই দীর্ঘ। একাধিক বলি অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর।
একটি সম্পর্কে নাকি বেশি দিন থাকতে পারেন না সলমন। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন এক বলি অভিনেত্রী। তিনি আবার সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকাও বটে।
সঙ্গীতা বিজলানি থেকে শুরু করে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সলমন। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ঐশ্বর্যার উপর অধিকারবোধ খাটাতেন সলমন। এমনকি ঐশ্বর্যার প্রতি সলমন শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন বলেও শোনা যায়। সে কারণে নাকি দুই তারকার সম্পর্ক বেশি দূর এগোয়নি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, সঙ্গীতার সঙ্গে নাকি বিয়ে পাকা হয়ে গিয়েছিল সলমনের। কিন্তু সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গীতাকে ঠকিয়েছিলেন অভিনেতা। তাই দুই তারকার বিয়েও ভেঙে যায়।
সলমনের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন আরও এক বলি অভিনেত্রী। সলমনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় সম্পর্কে ছিলেন তিনি।
অভিনেত্রীর দাবি, এক জন মহিলার সঙ্গে বহু দিন সম্পর্কে থাকা সলমনের স্বভাববিরুদ্ধ। ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর প্রেমিকা বদলান তিনি। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছিলেন সোমি আলি।
১৯৮৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’। এই ছবিতে সলমনের অভিনয় দেখে নাকি অভিনেতাকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সোমি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, সলমনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ফ্লোরিডা থেকে মুম্বই যান সোমি।
সলমনের সঙ্গে আলাপ করার জন্য হিন্দি ফিল্মজগতে প্রবেশ করেন সোমি। ‘বুলন্দ’ নামে একটি ছবিতে সলমনের বিপরীতে অভিনয় করার সুযোগও পান তিনি। কিন্তু সেই ছবির কাজ শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়।
সলমনের সঙ্গে ছবি মুক্তি না পেলেও অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সোমি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১৯৯০ সালে সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। প্রায় সাত বছর দুই তারকা সম্পর্কে ছিলেন।
মিঠুন চক্রবর্তী, সুনীল শেট্টি, সইফ আলি খান, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দের মতো বলি অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেন সোমি। মাত্র আটটি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় সোমিকে।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, সঙ্গীতার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন সোমির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সলমন। বিয়ের কথা পাকা হয়ে যাওয়ার পর সোমির সঙ্গে সলমনের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন সঙ্গীতা। সে কারণে সলমন এবং সঙ্গীতার বিয়ে ভেঙে যায়।
অন্য দিকে সোমির সঙ্গেও সম্পর্কের আয়ু দীর্ঘ ছিল না সোমির। বলিপাড়া সূত্রে খবর, ৬ থেকে ৭ বছর সলমনের সঙ্গে থাকার পর দুই তারকা তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন। বিচ্ছেদের পর একাধিক বার সলমনের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ তুলেছেন সোমি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সোমি জানিয়েছিলেন, এক জন মহিলার সঙ্গে দীর্ঘ সময় সম্পর্কে থাকেন না সলমন। অভিনেতার ইচ্ছা বিভিন্ন দেশের মহিলাদের সঙ্গে প্রেম করার। তাই কোনও সম্পর্কের আয়ুই বেশি দিনের হয় না।
সোমির দাবি, সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট সময়ও ঠিক করা থাকে সলমনের। ছয় থেকে সাত বছরের বেশি কিছুতেই এক জন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকেন না তিনি। সে সম্পর্ক থেকে ক্লান্ত হয়ে যান। আবার নাকি অন্য দেশের মহিলার সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন সলমন।
সোমি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমার ধারণা সলমন ওঁর সামনে একটি গ্লোব নিয়ে বসেন। চোখ বন্ধ করে ও গ্লোবের উপর যে কোনও একটি জায়গায় আঙুল বসায়। যে দেশের উপর আঙুল পড়ে, সে দেশের মহিলার সঙ্গেই সম্পর্কে জড়ান তিনি।’’