মামাতো ভাইয়ের জন্মদিন। তাই সেজেগুজে মামাবাড়ি গিয়েছিল মেয়েটি। কে জানত এই দিনটাই তাঁর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে?
অনুষ্ঠানের ফাঁকেই খেলার ছল করে অন্ধকার ঘরে ডেকে নিয়ে যায় দাদা। তার পরেই মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে নাবালিকাকে।
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। ভর্তি করানো হয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মুশির্বাদের বহরমপুরে ঘটেছে এই ঘটনা। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত তুতো দাদা।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকায় মামার বাড়িতে আসে নাবালিকা। মামাতো ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বেশ কয়েক জন আত্মীয়-স্বজন আসেন ওই বাড়িতে। সেখানে খেলার ছলে নাবালিকাকে তার এক মামাতো দাদা ঘরে আটকে রাখে বলে অভিযোগ।
এমনকি, নাবালিকা ভয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। তার পর ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে মামার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার বাবা-মা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে নাবালিকার পরিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রানিতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
নাবালিকা শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ হলেও বর্তমান স্থিতিশীল বলে খবর।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ‘‘ভাইয়ের জন্মদিনে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে অন্ধকার ঘরে লুকোচুরি খেলার সময় বড়দা আমায় ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমি চিৎকার করলে আমার মুখে ওড়না বেঁধে দেয়। তার পর আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।’’
নাবালিকার অভিযোগ, ধর্ষণের পর তাকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। বলা হয়, ‘‘কিছু বললে প্রাণে মেরা ফেলা হবে।’’ নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমি দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’