বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে একে অপরকে দোষারোপ। চলছে তরজা। তিন জনপ্রিয় ইউটিউবারের ব্যক্তিগত জীবন ঝড় তুলেছে সমাজমাধ্যমে। কথা হচ্ছে ইউটিউবার দম্পতি সচিন রাজ এবং মনীষা ও তৃতীয় মহিলা ইউটিউবার নেহা তিওয়ারিকে নিয়ে।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তিন জনের মধ্যে বিরোধ এখন চরমে। সমাজমাধ্যমে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সমাজমাধ্যমে তিন জনেই ট্রোলিং এবং সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন।
কেউ কেউ মনে করছেন সত্যিই তিন ইউটিউবারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। আবার নেটাগরিকদের একাংশ মনে করছেন, পুরো বিষয়টিই সাজানো। নিছকই দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা।
সচিন, মনীষা এবং নেহা সুপরিচিত ইউটিউবার। তিন জনেই নিজের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভ্লগ এবং রিল বানান। আয়ও করেন অনেক।
এদের মধ্যে সচিন এবং মনীষা দম্পতি। ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস সচিন রাজ’ নামে ইউটিউবে একটি চ্যানেল রয়েছে তাঁদের।
নেহা আশিস তিওয়ারিও এক জন সুপরিচিত ইউটিউবার। ‘নেহা আশিস তিওয়ারি ভ্লগস’-এ ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। এর পাশাপাশি একটি বুটিক ব্যবসাও রয়েছে নেহার।
নেহাও বিবাহিত। কিন্তু তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। প্রথম প্রথম স্বামীর সঙ্গেই টিকটকে ভিডিয়ো পোস্ট করতেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। নিজের চেষ্টায় ইউটিউব চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করেন।
যদিও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে এখনও যোগ রয়েছে তাঁর। নেহার ভিডিয়োয় প্রায়ই তাঁর দেওর এবং ননদকে দেখা যায়। তাশি নামে এক কন্যা রয়েছে নেহার। বর্তমানে বাবা-মা, ভাই এবং ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে থাকেন তিনি।
সচিন, মনীষা এবং নেহার বিরোধ শুরু হয়, যখন মনীষা তাঁর চ্যানেলে সচিন এবং নেহার ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও তোলেন মনীষা।
সচিন, মনীষা এবং নেহার বন্ধুত্ব ইউটিউবের দৌলতেই। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং পার্টিতে দেখা যেত তাঁদের। নেহা এবং সচিন, নিজেদের সম্পর্ককে ‘দিদি-ভাইয়ের মতো’ বলে ব্যাখ্যা দিতেন সব জায়গায়। তবে মনীষার অভিযোগে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় দু’জনেই সুর পাল্টেছেন।
বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই নেহার সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন সচিন। দাবি করেছেন, নেহা তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করলেও তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করছিলেন নেহা।
এর পর ইউটিউব চ্যানেলে একটি লাইভ চলাকালীন নেহার বিরুদ্ধে তাঁর এবং স্ত্রী মনীষার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করার অভিযোগ তোলেন সচিন।
সচিনের দাবিতে মুখ খুলেছেন নেহাও। পাল্টা ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে নেহার দাবি, সচিন এবং মনীষা তাঁর এবং তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
পরিস্থিতি এমনই জটিল হয়ে যায় যে, একটি ভিডিয়োয় নেহার মাকে হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়। সচিনকে অভিশাপও দেন তিনি। ভিডিয়োয় বিচলিত এবং অসহায় ভাবে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে নেহাকে।
খবর, সুমিত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে নেহার বাগ্দান হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কের পরে সেই বিয়ে নাকি ভেঙে গিয়েছে। সব মিলিয়ে তিন ইউটিউবারকে নিয়ে সমাজমাধ্যম এখন সরগরম।