বিশ্বকাপ শেষ হতেই ফাঁস হল লিওনেল মেসির জার্সি সংক্রান্ত এক অবাক করা তথ্য। ফাঁস করলেন তাঁরই সতীর্থ এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক জানিয়েছেন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে মেসির নাম এবং ১০ নম্বর লেখা শতাধিক জার্সি তৈরি রাখা হয়। কখনও সেই সংখ্যা পেরিয়ে যায় তিনশোর গণ্ডি।
মার্তিনেস জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনার খেলা প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে মেসির জন্য এই পরিমাণ জার্সি তৈরি করা হয়। মার্তিনেস জানান, এমনও দেখা গিয়েছে যেখানে দু’টি ম্যাচে মেসির জন্য সাড়ে ছ’শো জার্সি তৈরি করা হয়েছিল।
প্রতিটি ম্যাচে এক জন ফুটবলারের জন্য সর্বাধিক তিনটি করে জার্সি বরাদ্দ থাকে। তা হলে হঠাৎ কেন মেসির ক্ষেত্রে এই নিয়ম বদল?
আসলে এই সব জার্সি মেসি নিজের জন্য তৈরি করান না। তিনি নিজে পরেন গোটা তিনেক জার্সি। বেশির ভাগটাই রেখে দেওয়া হয় মেসির গুণমুগ্ধদের জন্য।
এ ছাড়াও দলের অন্য খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়, কোচ, দলের অখেলোয়াড় কর্মী, কর্পোরেট স্পনসর এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।
মেসির একটি জার্সি নিজের সংগ্রহে রেখেছেন মার্তিনেসও। মেসির সঙ্গে কোপা আমেরিকা জেতার পর তিনি ওই জার্সি নিয়েছিলেন।
মার্তিনেস জানিয়েছেন, তিনি নিজে মেসির বড় ভক্ত। মেসির পরা জার্সি নিজের কাছে রাখতে পেরে তিনি গর্বিত বলেও মার্তিনেস জানিয়েছেন।
একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের শোয়ের জন্য ফুটবলার বেন ফস্টারকে নিজের ঘর এবং সংগ্রহে রাখা জিনিসপত্র দেখাচ্ছিলেন মার্তিনেস। তখনই বেনের নজরে পড়ে মার্তিনেসের সংগ্রহে রাখা মেসির একটি জার্সি। সেই আলোচনা করতে গিয়েই উঠে আসে মেসির জন্য ক’টা করে জার্সি তৈরি করা হয়, সেই প্রসঙ্গ।
মার্তিনেস এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় বেনকে বলেন, ‘‘আমি জার্সি প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আমরা যখন দেশের হয়ে খেলতে যাই, তখন মেসির জন্য কতগুলি জার্সি তৈরি হয়? উত্তরে উনি বলেন, ‘আমরা মেসির জন্য প্রতি ম্যাচে ২০০-৩০০ জার্সি তৈরি করি’।’’
মার্তিনেস মজা করে জানান, মেসিকে যেখানে শতাধিক জার্সি দেওয়া হয়, সেখানে তিনি সারা বছরে পান মাত্র দু’টি।
এই বিশ্বকাপ চলাকালীনও সেই নিয়মের বদল হয়নি। মেসির জন্য তৈরি হয়েছিল প্রচুর সংখ্যক জার্সি। যার বেশির ভাগটাই বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ স্তরের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাধারণত প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য তাঁদের নাম এবং নম্বর-সহ তিনটি করে জার্সি দেওয়া হয়।
তিনটি জার্সির মধ্যে এক জন খেলোয়াড় হাফটাইমের আগে একটি জার্সি পরেন এবং হাফটাইমের পরে একটি জার্সি পরেন। একটি রেখে দেওয়া হয় জরুরি পরিস্থিতির জন্য।
এক মাসের উন্মাদনা শেষে রবিবার ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেরার তকমা পেয়ে দেশে ফিরেছেন মেসি, মার্তিনেস-সহ আর্জেন্টিনার বাকি ফুটবলররা।