Lost Bollywood Actress Sabeeha

রাজেশ খন্নার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন নাবালিকা অভিনেত্রী! এখন কী করেন তিনি?

‘অনোখা রিস্তা’ ছবি মুক্তির পর রাজেশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন সাবীহা। সাবীহা একাই নন, তাঁর মা অমিতাও অভিযোগ করেছিলেন রাজেশের বিরুদ্ধে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩০
Share:
০১ ১২

১৯৮৬ সাল। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘অনোখা রিস্তা’। রাজেশ খন্না এবং স্মিতা পাটিল এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আরও এক অভিনেত্রী যার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে চর্চা না হলেও বলিপাড়াকে এক নিমেষে অশান্ত করে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর নাম সাবীহা। ১৫ বছর বয়সে এই ছবি দিয়েই অভিনয়ে হাতেখড়ি সাবীহার। কিন্তু রাজেশ খন্নার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিতর্ক শুরু হয় তাঁকে ঘিরে।

ছবি: সংগৃহীত

০২ ১২

‘অনোখা রিস্তা’ ছবি মুক্তির পর রাজেশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন সাবীহা। সাবীহা একাই নন, তাঁর মা অমিতাও অভিযোগ করেছিলেন রাজেশের বিরুদ্ধে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করে অমিতা জানান যে, ‘অনোখা রিস্তা’ ছবির শুটিং চলাকালীন তাঁর কন্যার দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন রাজেশ। এমনকি, শুটিংয়ের মাঝের বিরতিতে রাজেশ সাবীহাকে যৌন হেনস্থা করেন বলেও দাবি অমিতার।

ছবি: সংগৃহীত

Advertisement
০৩ ১২

কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ জানালেও সাবীহা আইনি রাস্তায় হাঁটেননি। রাজেশ যখন কেরিয়ারের মধ্যগগনে, সেই সময় অভিনেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন মা এবং কন্যা। পেশাগত দিক দিয়ে রাজেশ সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সব সময় চর্চায় থাকতেন তিনি। পরকীয়া সম্পর্কে বহু বার জড়িয়ে পড়েন রাজেশ।

ছবি: সংগৃহীত

০৪ ১২

বলিপাড়ার একাংশ রাজেশের চরিত্র বিশ্লেষণ করে অভিনেতার বিরুদ্ধে চলে যান। কিন্তু যাঁরা রাজেশকে কাছ থেকে চিনতেন, তাঁরা কিছুতেই সাবীহা এবং অমিতার এই অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের অনুমান, সাবীহা নিজের প্রচারের জন্য ভুল পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত

০৫ ১২

রাজেশ এই প্রসঙ্গে বহু দিন চুপ থাকার পর মুখ খোলেন। কিন্তু রাজেশের মন্তব্য শোনার পর সকলে চমকে ওঠেন। অভিনেতা জানান, অমিতা নাকি তাঁর মেয়ে সাবীহাকে নিয়ে রাজেশের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত

০৬ ১২

নিজের মেয়েকে নাকি সরাসরি রাজেশের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এমন কুপ্রস্তাব শুনে রাজেশ তাঁদের দু’জনকে দফতর থেকে বার করে দিয়েছিলেন। এর পরেই নাকি বলিপাড়ায় রাজেশের নাম খারাপ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করেন তাঁরা।

ছবি: সংগৃহীত

০৭ ১২

এর পর আর কোনও পরিচালক সাবীহাকে কাজ দিতে চাননি। তা-ই বাধ্য হয়ে ‘কয়ামত কি রাত’, ‘সোনে কি জঞ্জীর’-এর মতো বি গ্রেড ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন সাবীহা। ছবি নির্মাতাদের কাছে কাজের জন্য অনুরোধ করতে থাকেন সাবীহা।

ছবি: সংগৃহীত

০৮ ১২

ছবি নির্মাতারা সাবীহাকে জানান যে, ‘অনোখা রিস্তা’ ছবির মতো কোনও কাজ পাবেন না তিনি। সাবীহাকে কোনও মুখ্যচরিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হবে না। ছোটখাট চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন তিনি। এর পর অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘খিলাড়ি’ছাড়াও ‘১০০ ডেজ়’, ‘জয় বিক্রান্তা’র মতো অন্যান্য ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।

ছবি: সংগৃহীত

০৯ ১২

তার পর সাবীহাকে আরও কোনও ছবিতে কাজ করতে দেখা যায়নি। বলিপাড়া থেকে একেবারে উধাও হয়ে যান তিনি। এমনকি, তাঁর মা অমিতার খোঁজও পাওয়া যায় না। অনেকের অনুমান, অমিতা এবং সাবীহা দু’জনেই দেশ ছেড়ে চলে যান। অভিনয় ছেড়ে সাবীহা বিমানকর্মীর কাজে যুক্ত হন। তার পর গয়না নকশার কাজেও যুক্ত ছিলেন সাবীহা।

ছবি: সংগৃহীত

১০ ১২

বলিপাড়ার একাংশের দাবি, সাবীহার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁর মায়ের জেদের জন্য। তাঁর মা অমিতাও ফিল্মজগতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিনেতা কামরান খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু কামরান সেই সময় বিবাহিত ছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত

১১ ১২

কামরানের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান ফারহা খান এবং সাজিদ খানকে বলিপাড়ায় সকলেই চিনতেন। অমিতাও চাইতেন তাঁর কন্যা যেন বলিউড সিনেমাজগতের নামকরা অভিনেত্রী হন।

ছবি: সংগৃহীত

১২ ১২

তাই পড়াশোনা শেষ করার আগেই সাবীহাকে অভিনয়ে নামিয়েছিলেন অমিতা। কন্যার প্রচারের জন্য নাকি অমিতাই নাকি রাজেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি করেন অনেকে। কিন্তু মায়ের ইচ্ছাপূরণই সাবীহার জীবনে এমন কাল হয়ে দাঁড়াল যে, কেরিয়ার গড়ে তোলা তো দূরের কথা, বলিপাড়া থেকেই অদৃশ্য হয়ে গেলেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement