শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন
উপার্জনের কিছুটা অংশ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করলে আর্থিক দিক থেকে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিতথাকে। তবে বিনিয়োগের আগে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা, বিনিয়োগের পরিমাণ, বিনিয়োগেরমেয়াদ, স্কিমের কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।
বিনিয়োগে লাভের সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে ক্ষতির আশঙ্কাও। বাজারগত ঝুঁকি, নির্দিষ্ট সংস্থাটির ঝুঁকি, কর-যোগ্যতার ঝুঁকি, লিকুইডিটির ঝুঁকি, নিয়ন্ত্রক ঝুঁকি, সুদের হারের ঝুঁকি, মুদ্রাস্ফীতির মতো নানা ঝুঁকি রয়েছে তালিকায়। তবে একটু সচেতন থাকলেই এই ক্ষতি এড়ানো যায়। কী ভাবে? জানুনবিস্তারিত।
উত্থান-পতন শেয়ার বাজারের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবুও এটিই বিনিয়োগের সেরা মাধ্যম হিসাবেবিবেচিত হয়। ঝুঁকি থাকলেও বিনিয়োগকারীরা এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পেতেপারেন। শেয়ার বাজারে নির্দিষ্ট স্টকের চাহিদা এবং সরবরাহের উপর তার দাম নির্ভর করে।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিনিয়োগকারী বাজার পতনের সময়ে লগ্নি প্রত্যাহার করছেন এবংবাজার উত্থানের সময়ে আবার বিনিয়োগ করছেন। মাথায় রাখা প্রয়োজন, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগক্ষতিগ্রস্ত হয় এই পদ্ধতিতে। বিনিয়োগের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন ঝুঁকি ও রিটার্নেরভিত্তিতে। এই যেমন ধরুন, বেঞ্চমার্ক সূচকের থেকে বেশি ঝুঁকি-সহ কোনও স্কিমের ওঠানামারমধ্যেও ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে।
প্রতিটি স্কিমেরই কোনও না কোনও ঝুঁকি রয়েছে। তহবিল বা ফান্ড স্কিমগুলি তাদের ঝুঁকিকেবিভিন্ন ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করে থাকে। যেমন কম ঝুঁকি, স্বাভাবিক-মাঝারি, মাঝারি, মাঝারি-উচ্চ,উচ্চ এবং খুব উচ্চ ঝুঁকি। ফান্ড রিস্ক মিটার বলা হয় একে। এই ঝুঁকিগুলি নির্ভর করে বাজারমূল্য, অস্থিরতা এবং নগদে রূপান্তরযোগ্যতার উপর। তাই ফান্ড বা তহবিল, অথবা স্কিমনির্বাচনের আগে বিনিয়োগকারীদের এই ফান্ড রিস্ক মিটারের উপরে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে ঝুঁকি সহনশীলতার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
শুধুমাত্র একটি স্টকে নয়, বৈচিত্র্য আনুন বিনিয়োগে। একাধিক স্টকে বিনিয়োগ করলে লাভেরসুযোগ বেশি। বিনিয়োগের আগে চাই গভীর গবেষণা। সঠিক গবেষণা ছাড়া বিনিয়োগ বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা ডেকে আনবে। এ ছাড়াও সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে প্রতিরক্ষামূলক স্টকেবিনিয়োগ করা যেতে পারে। কারণ এতে শেয়ারের দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকে।
বিনিয়োগে নিয়মিত নজরদারি চালান। সঙ্গে স্টকগুলির পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখুন। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে কখনও না কখনও ঝুঁকির সম্মুখীন হতেই হবে। তবে তার মোকাবিলা করতে হবে কৌশলে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।