প্রতীকী ছবি
উৎসবের আমেজে ক্ষণিকের ইতি। এরই মধ্যে খরচের যদিও কমতি নেই। কারণ শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়েবাড়ির মরসুম। নতুন বছরের শুরুতে দাঁড়িয়ে আগেভাগেই জেনে নিন সঞ্চয় আর খরচের তালমিল রাখতে কী কী করবেন?
আগের থেকে খরচের ধারা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এর পিছনে প্রধান কারণ হল আগে পকেটে থাকত গোনাগুনতি টাকা। তার থেকে বেশি খরচের কোনও উপায় ছিলই না। পরে ডেবিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে ইচ্ছেমতো টাকা তুলে জিনিসপত্র কিনতেও আর কোনও বাধা রইল না। এর পাশাপাশি এখন ক্রেডিট কার্ডের নজরকাড়া রমরমা ক্রেতাদের জন্য আরও সুযোগ করে দিয়েছে কেনাকাটার। সঙ্গে ফোনেই রয়েছে ইউপিআই দিয়ে কেনাকাটার উপায়। এক কথায় বলতে টাকা খরচের পদ্ধতি এখন গুনে শেষ করা যায় না। কিন্তু সেই অনুপাতে সঞ্চয় করার পথ কি বেড়েছে?
অনেকেই নিয়মিত ফিক্সড ডিপোজিট করেন। এলআইসি, এসআইপি বা রেকারিং– সব কিছুরই ব্যবস্থা করেছেন। তবু মাসের শেষের সেই হিসাবে দেখা যায় কোথাও একটা ঘাটতি থেকে গিয়েছে সঞ্চয়ের খাতে। সোজা কথায়, মাসিক আয়ের তুলনায় যতটা টাকা জমানো দরকার, ততটা হয়ে ওঠেনি কোনও না কোনও কারণে। তবে হাতে বেঁচে থাকা কিছু টাকা শুধু সঞ্চয়ের জন্য রাখলে তা কোনও দিনই বেশি হয় না।
এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার উপায় হল মাস মাইনের ২৫ শতাংশ চোখ বুজে আগেই সঞ্চয়ের খাতে সরিয়ে রাখা। অনেকে পরিকল্পনা করেও নিজে হাতে শেষমেশ নানা অজুহাতে বা দরকারে সেই টাকা সরিয়ে খরচ করে ফেলেন। তাই ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা করে রাখুন। যাতে হাতে টাকা আসার আগেই তা জমানোর ভাঁড়ে ঢুকে যায়।
প্রাথমিক ভাবে সব মানুষেরই কয়েক মাস এতে খুব অসুবিধা মনে হয়, হাতে টান থাকে বেশ। তবে যদি সাপ্তাহিক বাইরে খাওয়া বা কেনাকাটা বা প্রমোদ ভ্রমণ থেকে টাকা বাঁচিয়ে নিজের ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখেন, তাতে আখেরে আপনারই লাভ। এ ছাড়া কোন কোন পদ্ধতিতে মাসের মাইনে এলে শুরুতেই আপনি তার একাংশ সরিয়ে বেশি সুদে জমিয়ে রাখতে পারবেন, তার জন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করে যাচাই করুন।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।