প্রতীকী ছবি
নানা ধর্মীয় বিশ্বাসে বলা হয় নিত্যদিনের খাওয়া দাওয়ার মধ্যেই নির্দিষ্ট কোনও উপলক্ষে উপোস রাখতে হয়। কারও মতে এতে শরীর সুস্থ থাকে, কারও মনে হয় এর মাধ্যমে মানুষ সংযম শিখতে পারেন, পাশাপাশি জীবনে শৃঙ্খলাও আসে অনেক বেশি।
এই কথাগুলি খাটে সঞ্চয়ের অভ্যাসের ক্ষেত্রেও। ঠিক যেমন রোজকার চর্ব্যচোষ্য খাওয়ার থেকে মাঝে মধ্যে এক-আধ দিনের বিরতি মানুষের জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে নিয়ম ও সংযম, তেমনি খরচের খাতে উপোস রাখলে তাও আখেরে সাহায্য করে টাকা জমানোর ক্ষেত্রে। কী ভাবে? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি করতে সবার আগে দরকার খরচ কমানোর অভ্যাস। ইদানীং খরচের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে। বাজারিকরণের প্রয়োজনে অনেক রংচঙে বিজ্ঞাপন ও লোভনীয় ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা হয় নানা সামগ্রী কিনতে। এক দিকে ই-কমার্স সাইটের বাড়বাড়ন্ত ও অন্য দিকে পাড়ার মোড়ে মোড়ে শপিং মল, সব মিলিয়ে খরচের হাত বেড়ে গিয়েছে সকলেরই।
মুঠোফোনের গুরুত্ব দিনে দিনে যত বেড়েছে, ততই তার মাধ্যমে চট করে কোনও ই-কমার্স সাইটে ঢুকে প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ফেলার ঝোঁক বেড়ে গিয়েছে পাল্লা দিয়ে। শপিং মলে ঢুকে কেনাকাটা সারার বিষয়টাও অনেকটা একই রকম। নেহাতই অভ্যাসের বশে অনেক জিনিস কিনে ফেলার পরে হয়তো দেখলেন তেমন কাজে এলই না কিছু। তবে ক্ষতি এতে একটাই, অনিয়ন্ত্রিত খরচের বাজে অভ্যেস তৈরি হয়ে যায়, যা পিছু ছাড়ানো বেশ কঠিন। আর সঞ্চয়ের পথে এই বাজে খরচই সব চেয়ে বড় কাঁটা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে মুক্তির প্রধান উপায় হল সপ্তাহে এক দিন যে কেবল যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আর কোনও ধরনের খরচ না করা। এতে সেই এক দিন এক দিন করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অভ্যাস তৈরি হবে।
তারই সঙ্গে মলে গেলেই কিছু না কিছু কিনতে হবে, এমন মানসিকতা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু কেনার দরকার পড়লে বাড়ি থেকে ফর্দ বানিয়ে নিয়ে যান। ফর্দ মিলিয়ে শুধু সেইটুকু বাদ দিয়ে আর কিছু কিনবেন না। তা হলেই খরচের বদলে সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে খুব কম সময়েই।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।