ফাইল চিত্র
এনপিএসে টাকা রেখেছেন। কিন্তু টাকা তোলা প্রয়োজন। পারবেন কি? পারবেন, কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই প্রকল্পের টাকা তোলার নানান নিয়ম।
১) অবসরের পর:
অবসরের পরে তো আপনি টাকা তুলতে পারবেনই। কিন্তু তাও পুরোটা নয়। যে টাকা জমেছে তার ৬০ শতাংশ আপনাকে বিনিয়োগ করতেই হবে অ্যানুইটি কেনার জন্য। বাকি ৪০ শতাংশ আপনি এক লপ্তে তুলতে পারবেন।
তবে জমানো টাকা যদি ২ লক্ষ বা তার কম হয়, তাহলে কিন্তু পুরো টাকাটাই এক লপ্তে তুলে নিতে পারবেন।
২) সময়ের আগেই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার নিয়ম:
আপনি যদি আপনার নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে চান, তাহলে কিন্তু আপনার জমানো টাকার ৮০ শতাংশ অ্যানুইটি কিনতে বিনিয়োগ করতে হবে। এই অ্যানুইটিই হবে আপনার মাসিক আয়। তবে হ্যাঁ, আপনাকে কিন্তু ১০ বছর এই প্রকল্পের সদস্য থাকতেই হবে। তার আগে আপনি এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না।
তবে আপনার জমানো টাকা যদি ১ লক্ষ বা তার কম হয়, তাহলে কিন্তু আপনি পুরো টাকাটাই এক লপ্তে তুলে নিতে পারবেন।
৩) সদস্যের মৃত্যুর পর:
নিয়ম অনুযায়ী, মৃত সদস্যের পরিবার এই প্রকল্পে জমানো টাকা পুরোটাই এক লপ্তে তুলে নেওয়ার অধিকারী।
৪) ৬০ বছর হলেই প্রকল্প থেকে বিদায় নিতে হবে না
আপনি যদি চান ৭০ বছর পর্যন্ত এই প্রকল্পের পুরো সুযোগ নিতে পারেন। টাকা জমানোর জন্য আয়কর ছাড়ের সুযোগও একই হারে বজায় থাকবে।
৫) ৬০ হলেই টাকা তুলে নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়
আপনার ৬০ বছর হয়ে গেলেও আপনি কিন্তু আপনার তহবিল প্রকল্পে ধরে রাখতে পারেন। তিন ভাবে এটি করা যায়। ক) পুরো টাকাটাই আপনি পরে তুললেন। খ) অ্যানুইটির জন্য ধার্য অংশ আপনি বিনিয়োগ করে, বাকি অংশ তহবিলে রেখে দিলেন। গ) আপনি অ্যানুইটি আয়ের অংশটি রেখে, বাকিটা থোকে তুলে নিলেন।
৬) কিছু টাকা কি মাঝ পথে তোলা যায়?
হ্যাঁ। কিন্তু তার জন্য আপনাকে প্রকল্পটিতে যোগদানের দিন থেকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। তার পর আপনার জমানো টাকার ২৫ শতাংশ তুলতে পারবেন শর্ত সাপেক্ষে। যেমন, সন্তানের উচ্চশিক্ষা, সন্তানের বিয়ে, বাড়ি করা বা ফ্ল্যাট কেনা, বা জটিল রোগের চিকিৎসার কারণে আপনি টাকা তুলতে পারবেন। তাও প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে তিন বারের বেশি নয়।