প্রতীকী ছবি
মোটামুটি তরুণ বয়স থেকেই বর্তমান প্রজন্ম বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে সুরক্ষিত ভবিষ্যতের খোঁজে। আর তাদের সঞ্চয়ের পছন্দের গন্তব্য হল ইটিএফ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। বলতে গেলে ইটিএফের সঙ্গেই বড় হয়েছে এই মিলেনিয়ালরা। ২০০১ সালে গোল্ডম্যান স্যাক্স ভারতে বাজারে প্রথম ইটিএফ নিয়ে আসে। আর তার বাজারের নানান সূচকের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড একের পর এক সূচক ভিত্তিক ফান্ড বা ইটিএফ বাজারে ছেড়েছে।
ডিসেম্বর ২০২২ এর শেষের দিকে পাওয়া তথ্য ঘাঁটলে ইটিএফের অঙ্ক নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা মেলে:
১। ইনডেক্স ফান্ডে নেট লগ্নি হয়েছে ৬,৭৩৬ কোটি টাকা।
২। মোট এসআইপির সংখ্যা ৬,১২,৪২,৫৩১
৩। গোল্ড ইটিএফের আওতায় ছিল ২১,৪৫৫ কোটি টাকা।
৪। সব মিলিয়ে ‘নেট অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট’ ছিল ৪০ লক্ষ কোটি টাকা।
বলা বাহুল্য, ভারতীয় বাজারে ইনডেক্সের ব্যবহার বেড়ে চলেছে ক্রমশ। নিত্য নতুন বিভিন্ন শ্রেণীর ইনডেক্সের ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি, প্যাসিভ ইনভেস্টমেন্টের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে সাধারণ লগ্নিকারীদের। একদিকে যেমন স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড করার সুবিধা রয়েছে সে রকমই ইটিএফ –এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা সোনা বা রূপোয় লগ্নি করতে পারেন খুব সহজেই। সেবির নিয়মের দৌলতে।
তবে ইটিএফেরও কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে যেগুলি মাথায় রাখা প্রয়োজন। স্টক ও অন্যান্য মিউচুয়াল ফান্ডের মতোই মার্কেট রিস্ক রয়েছে ইটিএফের। প্রসঙ্গত, একটি ইটিএফ যত বিস্তীর্ণ ইনডেস্ককে ট্র্যাক করে তার বাজারের ঝুঁকি তত কম। অবশ্য এই ঝুঁকি সম্পূর্ণভাবে কখনওই এড়ানো যায় না। অন্য আরও একটি বিষয় আলোচনা করা জরুরি। অনেক সময় ইটিএফগুলিকে ট্র্যাকিংয়ে ত্রুটির সম্মুখীন হতেহয়। এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাবে আগামী দিনে। তবে মোদ্দা ব্যাপারটা হল যখন কোনও ফান্ড ঠিক মতো কোনও সূচকের অন্তর্ভূক্ত শেয়ারগুলিতে ঠিক অনুপাতে বিনিয়োগ করতে পারে না, তখনই সূচকের ওঠাপড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। আর একেই বলে ট্র্যাকিং এরর।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।