প্রতীকী ছবি
ঋণ না করে সাধারণ জীবন চলে না। বাড়ি করব? ঋণ চাই। গাড়ি কিনব? তাও ঋণে। সন্তানের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাই। সমস্যা হল আমরা জীবনের শুরু থেকেই নিজেদের আর্থিক ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না। পরিকল্পনা তো দূরের কথা। ভাবি না বললে হয়ত ভুল বলা হবে। আসলে সেই ভাবনাটা দুশ্চিন্তার স্তরেই থেকে যায়। পরিকল্পিত ভাবনা বলতে যা বোঝায় সে রাস্তায় আমরা হাঁটি না।
প্রথম মাইনেটা পেয়েই মনে হয় জীবনের এই তো শুরু। প্রথম রোজগার। তাই চারিদিকে উপহার থেকে শুরু করে বিলাসের বন্যা। আর প্রতিবারই ভাবি এই তো সবে শুরু। আর কিছুদিন যাক। তার পর না হয় গুছিয়ে নেব। এরপরেই বাড়ির চাপ। বিয়ে। সেটাও তো জীবনের শুরুই। তাই হানিমুন থেকে শুরু। আর তারই মাঝে কখন যে ক্রেডিট কার্ডে খরচ শুরু হয়ে গিয়েছে তার হিসাবও রাখি না। আর খরচ করার পরেই মনে হয়, একটু একটু করে শোধ যখন করাই যাবে তখন আর চিন্তা করে লাভ কি?
কিন্তু মাথায় থাকে না যে ক্রেডিট কার্ডে খরচ মানেই মাসে প্রায় ৪ শতাংশ হারে সুদ। বছরের হিসাবে ধরলে কিন্তু তা অনেক। কতটা? মাসিক সুদকে ১২ দিয়েই গুণ করেই দেখে নিন না। আর তা হলেই বুঝবেন কতটা।
কিন্তু ছবিটা কতটা ঝামেলার তা বুঝতে একটা অঙ্ক কষে ফেলুন। একে বলে ঋণ শোধের দায় বা ডেট সার্ভিস রেশিও।
প্রথমে স্বল্পমেয়াদের ঋণগুলোকে যোগ করে ফেলুন। এবার আপনার মাসিক আয় দিয়ে তাকে ভাগ করে ফেলুন। তাহলে যে সংখ্যাটা পাবেন তা হল ঋণ শোধ করতে আপনার কত মাস লাগবে তার হিসাব। আর এই অঙ্কটা করলেই আপনি কিন্তু আপনার দায়টা বুঝে যাবেন। এটা কিন্তু আপনার পুরো মাইনের হিসাব কারণ অঙ্কটা করছেন এই ভেবে যে আপনার পুরো মাইনেটাই যাচ্ছে ঋণ শোধ করতে। কিন্তু এটা তো আপনি করতে পারবেন না। কারণ আপনাকে তো খেতেও হবে। তাই এবার মাসিক আয় থেকে আপনার মাসিক খরচ বাদ দিয়ে যে সংখ্যাটা পাবেন সেটা দিয়ে আপনার ঋণের অঙ্ককে ভাগ করুন। এই ভাগফল অবশ্যই আগের থেকে বেশি হবে। এই দুটোকে পাশাপাশি রেখে এবার নিজের আর্থিক অবস্থাটা অনুধাবন করুন।
আমরা আগামীতে এই সব অনুপাত একত্র করে কী ভাবে আপনার সঞ্চয়ের কৌশল পরিচালনা করতে পারেন তা নিয়ে বসব। এখন এই পর্যন্ত।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।