প্রতীকী ছবি।
আপনার বয়স কী তিরিশ বা চল্লিশের কোঠায়? স্বাভাবিক নিয়ম মেনে অবসর থেকে অনেক দূর? এখন তেমন মনে হলেও, অনেক কারণেই চটজলদি সেই সময়টি এসে যেতে পারে। তাই এখনই অবসরের জন্য বাজেট তৈরির কথা ভাবা উচিত। আজই শুরু করতে পারেন।
প্রথমে বলি, অবসর নেওয়ার পর আয় যখন কম, দীর্ঘদিন ধরে বাঁচা এ যুগে একেবারেই সাধারণ ঘটনা। টাকা ফুরিয়ে আসছে, কিন্তু জীবনীশক্তি অটুট, এমন প্রায়ই দেখা যায়। এ নিয়ে বহু মানুষ ভাবিত, এমন হওয়ার সম্ভাবনায় অবসরমুখী অনেকেই চিন্তিত। একটি সুষ্ঠু বাজেট থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলে আমার ধারণা।
অবসর-কালে কী ধরনের টাকা আপনি পেতে পারেন (যেমন ইনসিওরেন্স ম্যাচিওরড হলে) এবং সেই টাকার সঠিক ব্যবহার, এও এই প্রসঙ্গে খুব জরুরি একটি বিষয়।
সময় থাকতে থাকতে এর উত্তর খুঁজে রাখুন, আখেরে লাভ আপনারই।
প্রতীকী ছবি।
এরই সঙ্গে এগুলির দিকে নজর দিন:
১। কত টাকা আপনি প্রতি মাসে পাবেন (পোস্ট-রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট লগ্নি করে) তার হিসাব করুন
২। সম্ভাব্য মাসিক খরচের আন্দাজ রাখুন
৩। যদি ‘কস্ট কাটিং’ মানে কাটছাঁটের কথা ভেবে থাকেন, তা হলে খরচ কত কমবে তা জানতে হবে
৪। কোনও বিরাট, বিপুল খরচ কি একেবারে বন্ধ করে দেবেন ভেবেছেন? বিনোদন জাতীয় খরচ-সাপেক্ষে বিষয় এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেতে পারে, যেমন অনেকেই করে থাকেন
মনে রাখুন, মুদ্রাস্ফীতি আপনার এক প্রধান শত্রুবিশেষ, এটি সমস্ত ‘এসটিমেট’ বা হিসাব নষ্ট করে দিতে পারে। ইতিহাস দেখে নিন, আন্দাজ ৫-৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির হার হতে পারে, তা মেনেই চলুন।
এই প্রসঙ্গে এও জেনে রাখুন যে আয়কর কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মানুষকে ছাড়বে না। স্থায়ী রোজকার নেই বলে করও নেই, তা নয়। কোনও ব্যবসা থেকে আয় হতে পারে, স্থায়ী আমানতের সুদ থেকেও। বাড়িভাড়া বাবদ আয়? তাও থাকতে পারে। কাজেই সাবধান, ঠিক মত ট্যাক্স দিন। হ্যাঁ, সিনিয়র হিসাবে ছাড় থাকলে সে সুবিধাও নিন।
অনেক সময় দেখি যে বাজেটের জন্য কোন সাধারণ নীতি আছে কি না, তা জানতে চান উত্সাহীরা। নেই, তা আগেই বলে রাখি। সব ব্যক্তিই স্বতন্ত্র, আলাদা। তাই বাজেটও তেমন।
তবে এমনও দেখেছি যে প্রাক-অবসর রোজগারের ৭০-৭৫ শতাংশ যদি বন্দোবস্ত করা যায়, তা হলে পরের দিকে বেশ অনেকটাই সুবিধা হয়। বহু খরচ একই থাকবে, রোজগার কমুক বা থেমে যাক। আর সেই জন্যই বাজেট প্রত্যেকের জন্য ভীষণ দরকার।