প্রতীকী ছবি
সঞ্চয়ের পথ হিসাবে মিউচুয়াল ফান্ড এখন আলোচনার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ মাথায় হাত দিয়ে বসেন। চার দিকে এত রকম ফান্ড, কোনটা যে কেনা উচিত, তা বুঝে ওঠাই মুশকিল। হবে না-ই বা কেন? এই মুহূর্তে বাজারে ৪৪টি সংস্থা আমার আপনার কাছ থেকে বিনিয়োগের জন্য যে টাকা তুলেছে, তার অঙ্ক জানেন? ২৪ লক্ষ কোটি টাকা! এটা কত বড়, তা বুঝতে কেন্দ্রীয় বাজেটে চোখ রাখুন। ঋণ ছাড়া প্রস্তাবিত রাজস্ব আদায় বলা হয়েছে ২৭ লক্ষ কোটি টাকার একটু বেশি! এর মানে মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার এখন এত বড় যে, তা বাজেটের আয়ের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে।
এত বড় শিল্প। তাতে এত সংস্থা। প্রতিযোগিতা তো হবেই। আর তাই সব সংস্থাই ব্যস্ত এমন তহবিলের সম্ভার তৈরি করতে, যাতে কোনও ক্রেতাকেই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে না হয়। তাই থাকছে শুধু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের সংস্থায় বিনিয়োগের সুযোগ। যেমন ব্যাঙ্কিং। আবার বাজারের চাহিদা এবং দরের ভিত্তিতে পছন্দ করা শেয়ারে বিনিয়োগ। যেমন মিডক্যাপ। রয়েছে শেয়ার এবং ঋণপত্রে একযোগে বিনিয়োগের সুযোগ।
আপনার চ্যালেঞ্জ হল কোনটা বাছবেন। এটা দেখতে অর্থনীতিতে চোখ রাখুন। সরকার চাইছে পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়ুক। ডিজিটাল প্রযুক্তি মুড়ে রাখুক আমাদের জীবন। আর এই সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ছেও।ডিজিটাল প্রযুক্তির ফান্ডগুলিতে গত পাঁচ বছরের তুলনায় গত তিন বছরের রিটার্ন অনেক ফান্ডেই ৩০ শতাংশের উপরে। পাঁচ বছরের গড় রিটার্ন ২০ শতাংশের উপরে। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও একই রকম। তাই এই দুই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের কথা ভাবতেই পারেন।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।