Personal Finance 2023

লগ্নি তো করছেন, কিন্তু জানেন কি বিভিন্ন রিটার্ন মাপার উপায়?

দুটো এক শ্রেণির বিনিয়োগের আলাদা হোল্ডিং পিরিয়ড থাকতেই পারে। ধরুন, একটা স্টক আপনাকে ৪০ শতাংশ গ্রোথ দিয়েছে ছয় বছরে। আর একটা ফিক্সড ডিপোজিট প্রতি বছর ৮.৫ শতাংশ করে সুদ দিয়েছে।

Advertisement

নীলাঞ্জন দে

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১২
Share:

দুটো এক শ্রেণির বিনিয়োগের আলাদা হোল্ডিং পিরিয়ড থাকতেই পারে।

ভাল রিটার্নের হদিস পেতে তো সবাই চান। লগ্নির প্রধান উদ্দেশ্য তো সেটাই। রিটার্ন আদৌ পেয়েছেন কি না, পেলেও ঠিক কত, তা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই অনেকেরই। কেউ ভাবেন বছরে দুই অঙ্কের রিটার্ন পেলেই হলো, তাই যথেষ্ট। কেউ ভাবেন মুদ্রাস্ফীতি ও আয়কর ছাপিয়ে অন্তত পাঁচ শতাংশ হাতে না থাকলে পুরো বিনিয়োগের প্রক্রিয়াটাই ব্যর্থ।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে রিটার্ন সঠিক ভাবে মাপা প্রত্যেক লগ্নিকারীর পক্ষে জরুরি। কারণ হিসাবে ভুল হলে প্রবল অসুবিধায় পড়তে হবে। কয়েকটা স্ট্যান্ডার্ড বা প্রামাণ্য মাপকাঠি ব্যবহারের উপরে তাই জোর দেওয়া দরকার।

Advertisement

বিভিন্ন রিটার্ন মাপার উপায়

এখানে তিনটি প্রধান মাপজোকের কথা বলছি:

১। অ্যাবসোলিউট

২। অ্যানুয়ালাইজড

৩। কম্পাউন্ডেড অ্যানুয়াল গ্রোথ

অ্যাবসোলিউট রিটার্ন

এর মধ্যে ধরতে হবে ক্যাপিটাল গেন, ইন্টারেস্ট জনিত, এবং ডিভিডেন্ড থেকে প্রাপ্ত উপার্জন।

অ্যান্যুয়ালাইজড রিটার্ন

দুটো এক শ্রেণির বিনিয়োগের আলাদা হোল্ডিং পিরিয়ড থাকতেই পারে। ধরুন, একটা স্টক আপনাকে ৪০ শতাংশ গ্রোথ দিয়েছে ছয় বছরে। আর একটা ফিক্সড ডিপোজিট প্রতি বছর ৮.৫ শতাংশ করে সুদ দিয়েছে। দুটো ভিন্ন হোল্ডিং পিরিয়ড। এখানে দুটোকেই অ্যানুয়ালাইজ করতে হবে, না হলে দুটোর মধ্যে তুলনা করতেই পারবেন না। এই ফর্মুলা ব্যবহার করুন - (অ্যাবসোলিউট রিটার্ন) x (অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ফ্যাক্টর)

এখানে হোল্ডিং পিরিয়ড খুব জরুরি শর্ত:

১। ৩৬৫/যত দিন ধরে আছেন

২। ১২/যত মাস ধরে আছেন

৩। ১/যত বছর ধরে আছেন

আমাদের দৃষ্টান্তে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ফ্যাক্টর হবে ১/৬, কারণ ছয় বছর হচ্ছে হোল্ডিং পিরিয়ড। স্টক থেকে রিটার্ন আন্যুয়ালাইজ করবেন:(৪০)x(১/৬) = ৬.৬৭%

পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, স্টক থেকে ৬.৬৭% আন্যুয়ালাইজড রিটার্ন পেয়েছেন যেখানে ফিক্সড ডিপোজিট দিয়েছে ৮.৫% (আগে থেকেই জানা)।

কম্পাউন্ডেড অ্যান্যুয়াল গ্রোথ

সাধারণত এক বছরের বেশি হোল্ডিং পিরিয়ড হলেই এই হিসাব কষে নিতে হয়। এখানে "টাইম ভ্যালু অফ মানি" বুঝতে হবে। লগ্নি করে মেয়াদের শেষে যা পাবেন, তা টাইম হরাইজনের (বছরের সংখ্যা) আতস কাচ দিয়ে দেখতে হয়, নির্দিষ্ট ফর্মুলা প্রয়োগ করে।

দু'জন বিনিয়োগকারী একই জায়গায় লগ্নি করে দুই বিভিন্ন সময়ে বিক্রি করলে দু ধরনের রিটার্ন পান এই কারণেই।

একটি চলতি উদাহরণ, যদি তূল্যমূল্য বিচার করতে হয়

মনে করুন অমলবাবু দশ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিটে লগ্নি করে এক বছরে ৯০০ টাকা পেয়েছেন। আর তাঁর বন্ধু কমলবাবু পাঁচ হাজার টাকা লগ্নি করে ৫০০ টাকা পেয়েছেন। কোনটা ভাল, আর তার তূলনায় কোনটা খুব একটা ভাল নয়? এখানে রেট অফ রিটার্ন দেখুন।

মানে: (রিটার্ন/মূল বিনিয়োগ) x ১০০

অমল পেয়েছেন ৯ শতাংশ আর কমল পেয়েছেন ১০ শতাংশ। সোজা হিসাব।

প্রতিবেদক সঞ্চয় উপদেষ্টা। বক্তব্য নিজস্ব।

বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement