প্রতীকী ছবি।
ফিক্সড ম্যাচুরিটি প্ল্যান বা চলতি আলোচনায় এফএমপি আবার ফিরছে। এই জাতীয় ফান্ড সাধারণত বিনিয়োগ করে সেই সব ঋণপত্রে যাদের একই সময়ে ম্যাচিওরিটি হয়। তাই এই জাতীয় ফান্ডে টাকা ঢাললে তা খানিকটা ফিক্সড ডিপোজিটের মতো ব্যবহার করে।
মাঝখানে অবশ্য এই জাতীয় ফান্ডের জনপ্রিয়তা বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে সুদের আয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিতেই সম্ভবত নিয়মিত আয় সন্ধানীরা আবার তাঁদের নজর ঘোরাচ্ছেন এই দিকে।
আর এই চাহিদা বাড়তেই বাজারে আবার ফিরতে শুরু করেছে ফিক্সড-ইনকাম শ্রেণির কিছু লগ্নির সুযোগ। ‘ফিক্সড ম্যাচিওরিটি প্ল্যান’, মার্কেটের পরিভাষায় ‘এফএমপি’, ফিরে আসায় আরও বিকল্পের সন্ধানও বিনিয়োগকারীদের সামনে আসতে শুরু করেছে।
ক্লোজ-এন্ড ফান্ড, যা এখন বাজারে প্রায় আসেই না, তা-ও আবার কর বাঁচানোর সুযোগও করে দিতে পারে। আগামীতে দুই প্রধান ঝুঁকির (সুদের হার ও ক্রেডিট সম্বন্ধীয়) বাতাবরণে তা লগ্নিকারীর কাছে জরুরি হয়ে উঠবে বলে মার্কেট মনে করছে।
অনেকের মতে, নির্দিষ্ট টার্ম (টেনিওর), স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টিং হওয়ার সুবিধা, পোর্টফোলিওর মধ্যে শেষ পর্যন্ত ঋণপত্র ধরে রাখার নিশ্চয়তা ইত্যাদি নানা কারণে এই জাতীয় বিকল্পের প্রয়োজনীয়তা আবার দেখা দিয়েছে ।
সম্প্রতি আসা এইচডিএফসি মিউচুয়াল ফান্ডের ১১৬২ দিনের এফএমপি এমনই এক উদাহরণ। এই ধরনের ফান্ড নানা শ্রেণির ঋণপত্রে বিনিয়োগ করে— ট্রেজারি বিল, কমার্শিয়াল পেপার, বন্ড, ডেবেঞ্চার, গিল্ট ইত্যাদি।
বাজারে সুদের হার সংক্রান্ত ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর চাপ আসছে সুদ বাড়ানোর ব্যাপারে। আগামী দিনে, তা আরও প্রকট হবে, বোঝা যাচ্ছে।
ডেট-নির্ভর প্রকল্প কিন্তু যথেষ্ট সমালোচিত— কেবল স্বল্প রিটার্ন পাওয়া যায় বলে, বিনিয়োগকারীরা সাধারণ ভাবে এগুলি এড়িয়ে চলেন। ইকুইটির জনপ্রিয়তা সে তুলনায় অনেক বেড়েছে।
ফিক্সড-ইনকাম বা অনুরূপ প্রকল্প ভবিষ্যতে একাংশের কাছে ডিপোজিটের তুলনায় গ্রহণযোগ্য হবে, এই ধারণাও চালু।
নতুন এফএমপি-র প্রয়োজন হবে যদি
• লগ্নিকারী নিজের বিনিয়োগ একটি বিশেষ সময়ের জন্য ‘লক’ করে রাখতে চান। এমন প্রকল্পে কী রকম ‘ইল্ড’ পেতে পারেন তার একটি আবছা ধারণা আগেই থাকবে।
• বিনিয়োগের জন্য নিজের একটা সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। তার সঙ্গে পা মিলিয়ে বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু একই সঙ্গে বেশি ঝুঁকি নিতে চান না।
• এমন লগ্নিতে বেশি চড়াই উতরাই নেই, এও জানা কথা। তাই অনেকের কাছে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক বলে গণ্য।
• পোস্ট-ট্যাক্স রিটার্ন ভাল হবে, কারণ ইন্ডেক্সেশনের সুবিধা পাবেন। এই সংক্রান্ত নিয়ম জেনে নিতে হবে আগেই।