প্রতীকী চিত্র
অনেক সময়ে নানা দুর্ঘটনায় হঠাৎ মৃত্যু ঘটে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের। তখন প্রিয়জনকে হারানোর শোকের সঙ্গেই বড়সড় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। তাই নিজের অবর্তমানেও যাতে পরিবারের মানুষকে অথৈ জলে পড়তে না হয়, সেই দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন সব বেতনভোগী ব্যক্তিই। এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য জীবন বিমাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়ে মুশকিল আসান হতে পারে ইপিএফও বা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। বেতনভোগী ব্যক্তিদের উদ্বেগ কমাতেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে এমপ্লয়িজ ডিপোজিট লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স প্রকল্প (ইডিএলআই) চালু করা হয়েছে। পলিসির মাধ্যমে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগকারী কর্মীদের বিনামূল্যে বিমা কভারেজের সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই স্কিমের অধীনে থাকাকালীন সুবিধাভোগীর আকস্মিক মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার সর্বোচ্চ সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারে।
ইডিএলআই কর্মীদের একটি কমপ্লিমেন্টারি ইন্স্যুরেন্স পলিসি হিসাবে পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই প্রকল্পেরর জন্য মনোনীত সুবিধাভোগীরা ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দাবি করতে পারেন। প্রকল্পের অধীনে থাকা ব্যক্তির নমিনির অবর্তমানে ওই টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মীর আইনত বৈধ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমান ভাবে বিতরণ করে দেওয়া হয়। কর্মচারীর অসুস্থতা, দুর্ঘটনা কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রকল্পটির কভারেজ বৈধ থাকে। যে সমস্ত কর্মচারীরা ১৫ হাজার টাকার উপরে বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন, তাঁরাই এই প্রকল্পটির সুবিধার পেতে পারেন। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা কোনও ব্যাক্তির মৃত্যু হলে নমিনি যিনি আছেন, তিনি ওই ব্যক্তির আগের ১২ মাসের গড় বেতনের ৩০ গুণ টাকা পাওয়ার যোগ্য। একই সঙ্গে ২০ শতাংশের বোনাস পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে।
এই প্রকল্পের অধীনে বিমা কভারেজ থেকে সর্বনিম্ন আড়াই লক্ষ টাকা এবং সর্বাধিক সাত লক্ষ টাকা দাবি করতে পারেন। ন্যূনতম আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীকে অবশ্যই কমপক্ষে ধারাবাহিক ভাবে ১২ মাসের জন্য চাকরি করতে হবে। চাকরি ছেড়ে দিলে বিমার সুবিধাও আর থাকে না। প্রসঙ্গত একটি কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন। এই বিমার সুবিধা তখনই পাওয়া যায়, যখন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার তাঁর চাকরি থাকাকালীন অবসর গ্রহণের আগেই মারা যান।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।