প্রতীকী ছবি
গাড়ি আছে? প্রতি বছর তা হলে নিশ্চয়ই বিমা কিনতে হয়। অ্যাক্সিডেন্ট হলে সেই বিমার টাকায় গাড়ি সারিয়েও নেন। যে বছর গাড়ির বিমার টাকা ব্যবহার করতে হয় না, তার পরের বছর প্রিমিয়ামেও বেশ কিছুটা ছাড় পান আপনি। তাই গাড়ি চালান যেমন, তেমন কিন্তু সাবধানে থাকেন যাতে ঠোকা না লাগে! তাই তো?
এ বার কিন্তু শুধু অ্যাক্সিডেন্ট না করলেই যে প্রিমিয়ামের উপর ছাড় পাবেন, তা না-ও হতে পারে। উল্টে গাড়ি ঠিক মতো না চালানোর কারণেই প্রিমিয়াম বেশি দিতে হতে পারে।আর এ সবই হবে নতুন প্রযুক্তিতে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইআরএডিআই) এ বার বিমার প্রিমিয়াম ঠিক করতে প্রযুক্তির সাহায্য অনুমোদন করেছে।
এই নতুন ধরনের বিমা যাঁরা গাড়ি নিয়ম মেনে চালান, তাঁদের পক্ষে খুবই সুবিধার হবে। মাথায় রাখতে হবে, বিমা মানেই আগে থেকে আঁচ করতে না পারা অঘটনের কারণে যে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তা পুষিয়ে নেওয়ার উপায়। এ বার আপনি যদি গাড়ি নিয়ম মেনে না চালান, তা হলে আপনার গাড়ির এবং অন্যের গাড়ির ক্ষতির আশঙ্কা যিনি নিয়ম মেনে গাড়ি চালান, তাঁর তুলনায় বেশি। অর্থাৎ আপনি স্টিয়ারিং হাতে নিলে সেই গাড়ির দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি। তবে তা অবশ্যই যদি আপনি নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালিয়ে অভ্যস্ত চালকদের দলে পড়েন। আর সেই কারণেই আপনার গাড়ির বিমার প্রিমিয়াম অন্যের তুলনায় বেশি হবে।
এত দিন পর্যন্ত অবশ্য ঝুঁকির হিসাব গাড়ি পিছু হত না। গড় ক্ষতির আশঙ্কা ধরে গাড়ির বিমার প্রিমিয়াম ঠিক করা হত। তাতে আপনি ভাল ড্রাইভার হলেও, বা আপনার গাড়ি নিয়ম মেনে চালানো হলেও কিছু যেত আসত না। অন্যদের বাজে গাড়ি চালানোর মাসুল আপনাকে দিতে হত ওই ভাল আর খারাপ চালানো গড়ের গুঁতোয়।
এ বার নতুন নিয়মের পালা। আপনি যদি ভাল গাড়ি চালিয়ের দলে হন, অথবা আপনার গাড়ি রাস্তায় নিয়ম মেনে চলে, তা হলে বিমা নবীকরণের সময়ে কিনে নিতে ভুলবেন না প্রযুক্তি নির্ভর নতুন শর্ত বা রাইডার।
প্রতিবেদক চিফ-আন্ডাররাইটিং, রিইনস্যুরেন্স এন্ড এএমপি; ক্লেইমস, অ্যাকচুয়ারিয়াল, আইসিআইসিআই লম্বার্ড জিআইসি। বক্তব্য নিজস্ব।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।