হাস্য-রসের আধিক্য

সম্প্রতি স্টার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল থিয়েটার ল্যাবরেটরি প্রযোজিত নাটক ‘চুপ’। নাটকে স্থূল হাস্য-রসের আধিক্য থাকলেও, কোনও সুস্পষ্ট বার্তা নেই। এক বৈজ্ঞানিকের ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে সুখের পরিবার। পরিবারের এক বিশ্বস্ত কাজের লোক হতভাগা বৈজ্ঞানিক একটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করেন। যেটা খেলে নাকি মানুষ অমরত্ব লাভ করে। ট্যাবলেটের ফর্মূলা এমন একটি সম্পদ যা কি না ভবিষ্যতে কোটি টাকা এনে দিতে পারে।

Advertisement

পিনাকী চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৫ ০০:০৩
Share:

সম্প্রতি স্টার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল থিয়েটার ল্যাবরেটরি প্রযোজিত নাটক ‘চুপ’। নাটকে স্থূল হাস্য-রসের আধিক্য থাকলেও, কোনও সুস্পষ্ট বার্তা নেই। এক বৈজ্ঞানিকের ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে সুখের পরিবার। পরিবারের এক বিশ্বস্ত কাজের লোক হতভাগা বৈজ্ঞানিক একটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করেন। যেটা খেলে নাকি মানুষ অমরত্ব লাভ করে। ট্যাবলেটের ফর্মূলা এমন একটি সম্পদ যা কি না ভবিষ্যতে কোটি টাকা এনে দিতে পারে। ট্যাবলেটের কথা প্রচার হতেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ চেষ্টা করে ওই ট্যাবলেটটি হাতাবার। এই নিয়ে হাসির ঘটনাপ্রবাহ।
বোস ভোলা’র চরিত্রে সলিল পাল, হতভাগা দেবদাস দে, চটপটে রাজা ঘোষ সাবলীল। অবলাকান্ত অপূর্ব দে এবং আহাময়ীর চরিত্রে নাট্য নির্দেশনায় সন্দীপ ঘোষ, মঞ্চ মদন হালদার, আলো তপন ভট্টাচার্য।

Advertisement

Advertisement

একটা ডেডবডি দরকার

অমূল্য নাট্যগোষ্ঠীর ‘একটা ডেডবডি দরকার’ নাটকটি দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের দিকেই আঙুল তুলেছে। যা প্রভাবিত করে মানুষের চেতনাকেও। এখানে মূল চরিত্র বিধায়ক পরমেশ্বর রায় ঘূণ ধরা সমাজের সেই প্রতিনিধি, যাঁকে দেখলে মনে হয় এমন কত মানুষই আজ কত অবলীলায় নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে। তিনি আসন্ন নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায়। তাই তিনি একটি ডেডবডির সন্ধান চান। বিরোধীদের শায়েস্তা করতে এই ঘৃণ্য কৌশল নিতে পিছপা হলেন না। শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় মনে রাখার মতোই। এই প্রশংসা পাবেন তরঙ্গ সরকার, চিরঞ্জিত ভদ্র, পিয়াল ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, দেবর্ষী সারগির উপন্যাসের বিনির্মাণের কাজটি বেশ নৈপুণ্যের সঙ্গে করেছেন পিয়াল ভট্টাচার্য। পরিকল্পনায় তরঙ্গ সরকার। মঞ্চ সজ্জাও অপূর্ব।

অচেনা কাদম্বরী

গোপা বন্দ্যোপাধ্যায়

বেহালা অনুদর্শী মঞ্চস্থ করল সুমনা চক্রবর্তী নির্দেশিত একাঙ্ক নাটক ‘এক নারী-কাদম্বরী’। কাদম্বরী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিনী রূপে ঠাকুরবাড়িতে এলেন। ছোট্ট রবির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়ন থেকে ঠাকুরবাড়ির অন্দরে গুমড়ে মরা নারীর হাহাকার। স্বামীর অবহেলা, নটিবিনোদিনীর সঙ্গে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, অপমানিত বৌঠানের আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া – এই সব ঘটনাই উঠে আসে এ নাটকে।

কাদম্বরী’র জীবনের দুখ-দুর্দশার দিকটি বিশেষ ভাবে উঠে আসে সুমনার অভিনয়ে। নাটকের মঞ্চভাবনায় ছিলেন অজিত রায়, আলোয় বাবলু সরকার, আবহে নগেন দত্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement