পত্রিকা: শুনেছি আপনি নাকি সুচিত্রা সেনের খুব বন্ধু ছিলেন?
সুমিত্রা: হ্যাঁ। খুবই। বলতে গেলে আমরা তো পড়শিও। পায়ে হেঁটে বেঙ্গল মিউজিক কলেজে যেতাম। তখন বেঙ্গল মিউজিক কলেজ হিন্দুস্থান রোডে ছিল।
পত্রিকা: সুচিত্রা সেন কেন বেঙ্গল মিউজিক কলেজে যেতেন?
সুমিত্রা: উনিও গান শিখতে যেতেন। বললেন, তুমিও তো ওখানেই যাও, চলো একসঙ্গে যাই। সুচিত্রা সেন তখনও রাস্তায় নামলে মবড্ হয়ে যেতেন না। কিন্তু খুব গল্প হত। ‘গৃ্হদাহ’ আর ‘স্মৃতিটুকু থাক’-এ ওর লিপেই তো গাইলাম। পথ চলার সেই বন্ধুতা ও কিন্তু মনে রেখে দিয়েছিল। একবার ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে আমি আর জর্জদা (দেবব্রত বিশ্বাস) গিয়েছি ঋত্বিক ঘটকের ‘কোমল গান্ধার’ ছবিতে গান গাওয়ার জন্য। হঠাত্ দেখি সুচিত্রা যাচ্ছে। আমি ভাবছি অনেক দিন যোগাযোগ নেই। আমাকে হয়তো চিনতে পারবে না। তা’ও ঘর থেকে বাইরে এলাম। ভাবলাম ওঁকে তো দেখি। একটু চোখে চোখ পড়তেই ও এগিয়ে এল। বলল, কেমন আছ? গান কেমন চলছে? কিন্তু মোটা হয়ে গেছ তো! আমি বললাম, তুমি যে আমার সঙ্গে কথা বলবে ভাবতেই পারিনি। তাতে লাবণ্য ঝরা মুখ নিয়ে ও বলল, ওমা! সেই পথেই তো গান শিখতে গিয়ে আমরা বন্ধু হয়েছিলাম, ভুলে গেলে? এদিকে জর্জদা তো চেঁচামেচি জুড়েছেন। বললাম, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা হল। জর্জদা চমকে বললেন, “অ্যাঁ!! কী কইতাসেন! একটু ডাকলেন না আমারে?” আমি বললাম, “সত্যি এটাই পারলাম না।” আসলে আমি বরাবরই আড়ষ্ট। অ্যাগ্রেসিভ ছিলাম না তো! আমার স্বামীও ছিলেন সঙ্গে। খুব আফশোস করেছিলেন। সুচিত্রা সেনকে না দেখতে পাওয়ার আফশোস। আর সেটা তো হওয়ারই কথা! (খুব হাসি)
পত্রিকা: অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত ফোনের গল্প একটু বলবেন?
সুমিত্রা: বাব্বা! সেই গল্প! সারা জীবনের মতো মনে রাখার। তখন তো টেলিভিশন ছিল না রেডিয়োতে নিয়মিত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইছি আমি। সকালের দিকেই ফোনটা এসেছিল। খুব চেনা কণ্ঠস্বর, “আমি অরুণ চট্টোপাধ্যায় বলছি।” গলাটা খুব চেনা, কিন্তু আমি চুপ। আবার ওপার থেকে ভেসে এল, “দিদিভাই আমি উত্তমকুমার বলছি। রেডিয়োতে আপনার গান শুনলাম। ‘আজ জ্যোত্স্না রাতে সবাই গেছে বনে’।” ওরে বাব্বা! আমার তো বুক কাঁপছে। এত বড় মানুষ আমাকে দিদিভাই বলছেন! কোনও আলাপও নেই আগে, ভাবুন! বললেন, “আমি তোমার বাড়ি যাব একদিন। ‘শুন বরনারী’ ছবিতে তোমায় গান গাইতে হবে।” কী বলব আমি, হাত পা ঠান্ডা! আমার স্বামীকে বললাম, উনি তো বিশ্বাসই করতে চাইছেন না।
পত্রিকা: বাড়িতে এসেছিলেন?
সুমিত্রা: হ্যাঁ, যেদিন এলেন সারা পাড়া লোকে ভরে গেছে উত্তমকুমারকে দেখার জন্য। লোকে খবরও পেয়ে যেত। সে এক অভিজ্ঞতা! গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন ছবিটির সঙ্গীত পরিচালক। রেকর্ডিং হল। উত্তমকুমার সারাটা ক্ষণ ছিলেন। সুপ্রিয়া দেবীর লিপে গাইলাম, ‘ঘরেতে ভ্রমর এল...’
পত্রিকা: সুপ্রিয়া দেবীর কেমন লেগেছিল আপনার গান?
সুমিত্রা: সুপ্রিয়া দেবী বলেছিলেন, “তোমার গান ছাড়া আমি কি অন্য আর কারও গানে লিপ দিতে পারব?” আর উত্তমকুমার বলেছিলেন, “এত ভাল গাইলে এ বার থেকে আমার বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় তোমার নেমন্তন্ন পাকা হল।” সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে। কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হলেই বলেন, “আমাদের সেই আগের সোনা ঝরা দিনগুলো কিন্তু বেশ ছিল।” ওর মেয়ে সোমার বিয়েতে আমার পরিবারের সবাই গিয়েছিল।
পত্রিকা: আচ্ছা, ইন্দ্রাণী সেনের বিয়েতে নাকি উত্তমকুমার এসে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন?
সুমিত্রা: উফ! সে এক কাণ্ড! করব না করব না করেও ইন্দ্রাণীর বিয়েতে উত্তমকুমারকে নেমন্তন্ন করেছিলাম। জানতাম ওঁর পক্ষে বিয়েবাড়িতে আসা খুবই শক্ত। বিয়ে তো আরম্ভ হয়েছে, বাড়ি ভর্তি লোকজন। এমন সময় দেখা গেল সাদা পাঞ্জাবি আর ধুতি পরা এক সুপুরুষ....তাঁর পিঠ হয়ে মাটি ছুঁয়ে আছে টকটকে লাল শাল, দূর থেকে দেখলে মনে হবে বুঝি সিদ্ধার্থ শংকর রায়! লুকটা ওরকম ছিল। সামনে আসতেই বোঝা গেল তিনি উত্তমকুমার। ব্যস্ যেই না দেখা, পুরোহিত তো বিয়ের মন্ত্র পড়তে পড়তে উঠে দাঁড়িয়েছেন। বর-বধূকে ছেড়ে সকলে তাঁর দিকে ছুটেছে। বিয়ে বাড়ি লন্ডভন্ড! ইন্দ্রাণীকে উত্তমকুমার একটা নীল বেনারসি দিয়েছিলেন। সেটা ও খুব কম পরেছে, পাছে নষ্ট হয়ে যায়। লোকে তো ওটা মাঝে মাঝে দেখতেও চায় খুব যত্ন করে রাখা আছে ওটা।
পত্রিকা: শুনেছি দেবব্রত বিশ্বাস আপনাদের পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
সুমিত্রা: জর্জদা একেবারে আমার পরিবারের লোক ছিলেন। ও রকম কালজয়ী শিল্পী আর হবে না। আর গানের জন্য সারাটা জীবন লড়াই করে কাটিয়ে দিলেন। ট্র্যাঙ্গুলার পার্কে ওঁর বাড়িতে গিয়েছি কত বার। সামনের বড় ঘরটায় একটা চেয়ার থাকত। হারমোনিয়ামের টেবিল আর পানের বটুয়া, ব্যস! এইটুকুই খেতে খুব ভালবাসতেন জর্জদা। আমার হাতে রান্না করা কালো জিরে কাঁচা লঙ্কা দেওয়া পাবদা মাছের ঝোল ওঁর খুব প্রিয় ছিল।
পত্রিকা: দেবব্রত বিশ্বাস আপনার গান শুনে তো চিঠি লিখেছিলেন?
সুমিত্রা: হ্যাঁ লিখেছিলেন, রেডিয়োতে আপনার রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে খুব ভাল লাগল। আপনি আধুনিক গান করেন বলেই আপনার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গানে এত সুন্দর মডিউলেশন আসে। জর্জদা অনুষ্ঠানে গিয়ে বলতেন হলের সব আলো জ্বালিয়ে দিতে, উনিও শ্রোতাদের দেখবেন, আর শ্রোতারাও সোজাসুজি ওঁকে দেখবেন।
পত্রিকা: এ তো উল্টো কথা হল! আধুনিক গান গাইলে কি গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের গায়কি আসে?
সুমিত্রা: বাজে কথা। আসলে তো সবই সারেগামাপা। এটা হলে ওটা হয় না, এমন কিছু নেই। আমি তো গীতবিতানের ছাত্রী। কিন্তু একেবারে প্রথম দিকে আমি প্রতিযোগিতায়, অনুষ্ঠানে তো ভজন, আধুনিক, কীর্তন সবই গাইতাম। আর সেগুলোর প্রত্যেকটাই আলাদা করে শিখেওছিলাম। গানের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেশনটাই আসল।
পত্রিকা: রবীন্দ্রনাথের গানে মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট-এর জন্য দেবব্রত বিশ্বাসকে বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল। তখন মিউজিক বোর্ডের সদস্যা সুচিত্রা মিত্রও দেবব্রত বিশ্বাসকে সোজাসুজি সমর্থন করতে পারেননি। এই নিয়ে দেবব্রত বিশ্বাস কিছু বলেছিলেন?
সুমিত্রা: খুব অভিমান হয়েছিল জর্জদার। জর্জদার সঙ্গে সুচিত্রাদির খুব ভাল সম্পর্ক ছিল, তো সুচিত্রাদি তখন মিউজিক বোর্ডের সদস্যা। সুচিত্রাদি সোজাসুজি জর্জদাকে সমর্থন জানাতে পারেননি। ওঁকেও ওঁর দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। জর্জদার গান বিশ্বভারতী মিউজিক বোর্ডের অনুমোদন পায়নি।
পত্রিকা: ইন্দ্রাণী সেন তো সব ধারার গান গেয়েই জনপ্রিয় তবে ইদানীং ওঁকে কম শোনা যায় কেন?
সুমিত্রা: ইন্দ্রাণীকে জর্জদাই ত্রিবেণীর খুব বড় একটা অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, আমার পাশে যে বসে আছে সে সুমিত্রা সেনের মাইয়া। ও আর আমি একসঙ্গে আজ গাইব। এ বার উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে ও প্রথম হয়েছে। এখন ওর গান শুনে আপনারা বিচার করুন। একটা সময় খুব গাইত ইন্দ্রাণী। মাঝে পিএইচডি-টা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, আর এখন সব রকম গান একসঙ্গে শোনার শ্রোতা কম। যাঁরা রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনবেন, তাঁরা শুধুই রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়া অন্য গান শুনবেন না। ও তো সব রকম গান গাইতে পারে। তবে নিজের পড়াশুনা, লেখার মধ্যে ও বেশি ইনভলভড হয়ে পড়েছে।
পত্রিকা: আর শ্রাবণী?
সুমিত্রা: শ্রাবণী গান গাইবে, আমি বা আমরা কেউ ভাবিনি। ওর বাবা খুব চাইতেন ও গাক। আর বাবা চলে যাওয়ার পরেই আমার মনে হয়, বাবার ইচ্ছের কথা ভেবেই গানের দিকে ওর মন গিয়েছিল।
পত্রিকা: শ্রাবণীর চেয়ে ইন্দ্রাণীর দিকেই কিন্তু আপনি বরাবর বেশি নজর দিয়েছেন। শ্রাবণীকেও বলতে শুনেছি ভাল রেজাল্ট, ভাল গান, ভাল দেখতে সবই দিদি, কেবলই দিদি....
সুমিত্রা: (একটু ভেবে) আরে ও গাইতেই চাইত না। কত বলতাম আমি, ওর বাবা। ধুর! এটা আগে ওর কমপ্লেক্স ছিল।
পত্রিকা: কিন্তু এখন তো শ্রাবণী সেন স্টার।
সুমিত্রা: স্টার কিনা জানি না। আসলে আমার দুই মেয়েকেই শিখিয়েছিলাম, ভাল গানের প্রশংসা করতে। নয়ত নিজেদের ভাল হবে না, কিন্তু আজকাল রুপু (শ্রাবণী) বলে মা কি শিখিয়েছ? আমার গান নিয়ে তো কেউ কিছুই বলে না! তবে গানটা আঁকড়ে আছে রুপু।
পত্রিকা: ঝগড়া হয় দুই বোনের?
সুমিত্রা: ভাবও যেমন, ঝগড়াও তেমন! এখন তো ইন্দ্রাণী বলে, কত টাকা রে তোর...কত অনুষ্ঠান..আমি তো পাই না! শ্রাবণী আবার মজা করে বলে, হ্যাঁ এখন আমিই তো নাম্বার ওয়ান। সবটাই মজার। নিজের ঢাক নিজে পেটাতে জানে না ও।
পত্রিকা: কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে ‘রত্নগর্ভা’ বলতেন?
সুমিত্রা: হ্যাঁ আমার মেয়েদের খুব ভালবাসতেন মোহরদি। শান্তিনিকেতনে ওঁর বাড়িতে গেলেই নিজে হাতে পান সেজে দিতেন। বলতেন, কী গুণের দুই মেয়ে। তুই তো রত্নগর্ভা। আমার ওসব যদিও কিছু মনে হয় না। মোহরদি যেমন কোমল, সুচিত্রাদি তেমনি কঠোর। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার গাইড ছিলেন সুচিত্রাদি। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। কেউ ধারে কাছে আসতে পারত না। ধমকও দিতেন আবার ভালওবাসতেন।
পত্রিকা: তখন রবীন্দ্রনাথের গানের জগত্ ভাগ হয়ে গিয়েছিল সুচিত্রা আর কণিকায়, আপনি কোন পক্ষে ছিলেন?
সুমিত্রা: আমি দুই পক্ষেরই ছিলাম। সুচিত্রাদি বলতেন আমায়, সুমিত্রা তোর মধ্যে দলাদলি, ভাগাভাগি নেই বলেই তোকে এত ভালবাসি।
পত্রিকা: সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ইন্দ্রাণী আর শ্রাবণীকে কত নম্বর দেবেন?
সুমিত্রা: ও আমি পারব না। দুজনেই ভাল থাকুক, গান করুক। ব্যস, এটুকুই চাওয়া আমি নিজে তো আর গান করি না। আমি এখন নিশ্চিন্ত...মুক্ত।
পত্রিকা: শ্রাবণী বিয়ে করলেন না। উনি কি একলাই থাকবেন? মা হিসেবে চিন্তা হয় না?
সুমিত্রা: খুব চিন্তা করি। অনেক বলেছি ও তো পাত্তাই দেয় না। এমনিতে ও শক্তসমর্থ, কিন্তু আজীবন তেমনটাই থাকবে? এরকম হয় নাকি? কোনও ক্ষোভ নেই আমার, অভিমানও নেই কিন্তু মা হিসেবে মেয়েকে একা রেখে যাব কেমন করে?
পত্রিকা: রবীন্দ্রসদনের পরিচালন সমিতির চেয়ারপার্সন আপনি। কবিপক্ষের মান কেন পড়ে যাচ্ছে? যে কেউ এসে গান গেয়ে যাচ্ছে। যোগ্যতার মাপকাঠি বলে কি আর কিছু নেই?
সুমিত্রা: মাপকাঠি নির্ধারণের জন্য তো অডিশন নেওয়া হয়। তবে সেই অডিশনে ভাল যেমন আছে, খারাপও আছে।
পত্রিকা: খারাপ যদি থাকবেই তো অডিশন কেন? অনুষ্ঠানের মান তো পড়ে গেছে। চানাচুর আর চা খেতে খেতে ছড়িয়েছিটিয়ে ক’জন লোকে যেটুকু গান শোনে..
সুমিত্রা: নাহ্! ভালই ভিড় হয় তো। কোয়ান্টিটি বেশি হওয়াতে মান পড়ে যাচ্ছে। দেখুন, এমন বহু পুরনো শিল্পী আছেন যাঁদের কণ্ঠ চলে না, তাঁরাও তো গেয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের তো কিছুতেই থামানো যায় না। আমি তো কবে গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এক কালে তো অনেক গেয়েছি। আসলে আরও কড়া হতে হবে আমাদের। নিজে যা চাই ঠিক সবটাই যে করতে পারি তা কিন্তু নয়। সব সময় একটা দ্বন্দ্ব নিয়ে চলতে হয়। আর আপনাদের মিডিয়াও মুড়ি-মিছরি এক করতে কিছু কম যায় না।
পত্রিকা: এ রকম কেন বলছেন?
সুমিত্রা: এত যে গানের মানের কথা বলছেন ওই যে কী একটা গান....উফফফ! মনেই থাকে না। ও হ্যাঁ, ‘উ লা লা, উ লা লা’ করে ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’ গাওয়া হল অঞ্জন দত্তর ছবিতে। সবাই তো আহা! আহা! করতে লাগল। মিডিয়াতেও হইচই যেন দারুণ কিছু হল! এটাকে কী বলবেন? সিনেমার খাতিরে গানের আদলটাই বদলে গেল? সিনেমার গান তো আমিও বহু গেয়েছি। কষ্মিনকালেও তো কিছু বদলের কথা ভাবিনি!
পত্রিকা: নিউ এজ বাংলা ছবিতে রবীন্দ্রনাথের গান ব্যবহার করা হচ্ছে। কেমন লাগছে?
সুমিত্রা: ভাল লাগছে না। সুর কথা সব বদলে দিচ্ছে তো! নতুন কিছু করতে হলে মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে সেটা করা হোক, আর একটা কথা। জিনস্ কি রবীন্দ্রনাথের গান গাইতেই হবে? কে জানে! কোথাও তেমন প্রতিবাদও হয় না! সব কিছুরই একটা প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁধন থাকা উচিত।