ডায়ালিসিস চালু হাসপাতালে, ডায়মন্ড হারবারে স্বস্তিতে মানুষ

চন্দ্রবোড়া সাপের ছোবলে বা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দ্রুত কিডনি অকেজো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিত্‌সার অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। আর এই ঘটনা আকছারই ঘটছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কারণ এই জেলায় এত দিনে কোথাও ডায়ালিসের ব্যবস্থা ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ০২:৫২
Share:

চন্দ্রবোড়া সাপের ছোবলে বা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দ্রুত কিডনি অকেজো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিত্‌সার অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। আর এই ঘটনা আকছারই ঘটছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কারণ এই জেলায় এত দিনে কোথাও ডায়ালিসের ব্যবস্থা ছিল না। ফলে কোনও রোগীর ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হলে ছুটতে হত কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে বা বেসরকারি হাসপাতালে। তা ছাড়া অনেকেই টাকার অভাবে কলকাতায় যেতে পারতেন না। ফলে অকালে প্রাণ হারাতে হত। ওই সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মেডিক্যাল সার্ভিস করেস্পন্ডেন্টের আর্থিক সহয়তায় এবং সঞ্জীবনী প্রাইভেট লিমিটেডের সাহায্যে সোমবার ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে একটি পাঁচ বেডের ডায়লিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঁচ বেডের ডায়ালিলিস ইউনিট ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেবে। এর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিত্‌সক রাখা হবে। তা ছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু’জন কর্মীও থাকবেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী পাঠানোর দায়িত্ত্ব সঞ্জীবনীর। ডায়ালিসিস করাতে খরচ পড়বে সাড়ে সাতশো টাকা। তবে বিপিএল রোগীদের বিনামূল্যে পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। হাসপাতাল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, “এখানে এত দিন ডায়ালিলিস ইউনিট ছিল না। সে কারণে কেউ আসত না। বাঙ্গুর হাসপাতাল ছাড়া জেলায় এই প্রথম ডায়ালিলিস ইউনিট চালু হল। এতে উপকৃত হবে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার ও বারুইপুর মহকুমা এলাকার বাসিন্দারা।” সাংসদ অভিষেক বলেন, “দীর্ঘ ৩৪ বছরে বাম জমানায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনও উন্নয়ন হয়নি। আমরা ক্ষমতায় আসায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন করেছি। যারা কুত্‌সা অপপ্রচার করছে তাদের উন্নয়নের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেব।” এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকা পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তথা বিধায়ক নির্মল মাঝি বলেন, “আগামী দিনে মাল্টি স্পেশালিটি মেডিক্যাল হাসপাতাল তৈরি হবে এখানে।” ৬০০ বেডের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ১০০ ছেলে-মেয়ে এই হাসপাতালে এমবিবিএস পড়তে পারবে বলেও জানান তিনি। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মীরা হালদার, এসডিপিও রুপঙ্কর সেনগুপ্ত প্রমুখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement