কোন কোন খাবার খেলে জিঙ্ক ট্যাবলেট আর দরকার হবে না? ছবি: সংগৃহীত
যে হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে সকলেই ফের সচেতন হয়েছন। খাওয়াদাওয়া-শরীরচর্চার দিকে মন দিচ্ছেন। শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন সেই অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া। এখন সব চিকিৎসক জোর দিচ্ছেন জিঙ্ক খনিজের উপর। জিঙ্কের ওষুধ খাওয়ার উপদেশও দিচ্ছেন ডাক্তাররা। তবে রোজগার খাবারেও জিঙ্ক থাকে। নিজের ডায়েটে যদি সেগুলো রাখতে পারেন, তা হলে স্বাভাবিক নিয়মেই শরীরে জিঙ্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সেই খাবারগুলি কী, জেনে নিন।
রেড মিট
বিফ, পর্ক বা ল্যম্বের মতো মাংসে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। তবে খুব বেশি রেড মিট খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। তাই মেপে খান। এবং খেলেও প্রসেস করা মাংস খাবেন না।
কাঁকড়া
কম ক্যালোরি অথচ বেশি পরিমাণে জিঙ্ক আছে এমন খাবার খেতে হলে কাঁকড়া, অয়েস্টারের মতো খাবার খেতে পারেন। তবে অনেকের এগুলো থেকে নানা রকম অ্যালার্জি হয়। আপনার তেমন কিছু আছে কিনা, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ভাল করে রান্না করবেন, নয়তো পেটের গণ্ডগোল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
বিভিন্ন রকমের ডাল
রাজমা, কাঁচা মুগ, ছোলা, কাবুলি ছোলার মতো শস্যে খেলেও আপনি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাবেন। তবে এগুলি কাঁচা খেলে পেট ফুলে যাওয়ার একটা সমস্যা দেখা যায়। তাই সেদ্ধ করে, জলে ভিজিয়ে বা ফার্মেন্ট করে খেতে পারেন।
বিজ
ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড, কুমড়োর বিজ, সূর্যমুখী ফুলের বিজের মতো কিছু জিনিস ডায়েটে রাখুন। স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। গুঁড়ো করে আটা মাখার সময় মিশিয়ে দিতে পারেন। আবার সকালের জলখাবারের সঙ্গে নুন-গোলমোরিজ মাখিয়েও খেতে পারেন।
দুধ-ডিম-দই
ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার খুব কম হয়। অনেক ডাক্তারই এখন বলছেন, দিনে একটা করে সেদ্ধ ডিম খেতে। এতে আপনার জিঙ্ক ছাড়াও নানা রকম পুষ্টির রসদ পেয়ে যাবেন। দুগ্ধজাত খাবারেও ডিমের মতোই অন্যান্য পুষ্টি ছাড়াও পাবেন জিঙ্ক।
কিছু সব্জি
আলু, মাশরুম, কেল, বিনের মতো কিছু সব্জিতে অল্প পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। তাই নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।