ম্যাগি যখন মহার্ঘ। ছবি: সংগৃহীত।
খাবার হোক কিংবা পোশাক, বিমানবন্দর থেকে কিছু কিনতে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই দাম বাইরের চেয়ে বেশি পড়ে। তাই বলে এক প্লেট ম্যাগির দাম পড়বে ১৯৩ টাকা! বাড়িতে ম্যাগি করে খেলে বাকি উপকরণ-সহ সব মিলিয়ে ২০-৩০ টাকার বেশি খরচ পড়ে না। ফলে সেই খাবারের দাম প্রায় ২০০ টাকা দেখে বিস্মিত হয়েছেন এক ইউটিউবার।
সেজল সুদ নামে ওই তরুণী সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ‘ম্যাগি কাণ্ডের’ কথা জানিয়েছেন। সেজল ম্যাগির বিলও ভাগ করে নিয়েছেন সেখানে। তার পর থেকেই ম্যাগির দাম নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
সেজল বিলের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ‘একটু আগেই আমি বিমানবন্দর থেকে ১৯৩ টাকা দিয়ে এক প্লেট ম্যাগি কিনলাম। ম্যাগির বিল দেখার পর আমি নিজেও অত্যন্ত বিস্মিত। সত্যিই বুঝতে পারছি না, আমার কী বলা উচিত। ম্যাগির মতো একটা সাধারণ খাবারের দাম যে এত বেশি হতে পারে, তা আমার ধারণা ছিল না।’’
সেজলের পোস্ট দেখে অনেকেরই নিজের অভিজ্ঞতার কথাও লিখেছেন মন্তব্য বাক্সে। কেউ জানিয়েছেন, তিনি ৬০০ টাকা দিয়ে দোসা কিনেছিলেন, কেউ আবার ৩০০ টাকার জল কিনেছেন। এক জন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘এই ম্যাগি বোধ হয় উড়ানের জ্বালানিতে তৈরি হয়েছে। সে জন্যই এত দাম।’ অনেকেই দাবি তুলেছেন, বিমানবন্দরে কোনও জিনিসের এই মাত্রাতিরিক্ত দাম নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কারও মনে হয়েছে, বিমানবন্দরে এতগুলি টাকা দিয়ে কিছু না কেনাই ভাল। তার চেয়ে বাইরে থেকে খাবার কেনা ভাল।
বিমানবন্দরে ম্যাগির দাম এত বেশি হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ জানিয়েছেন অপর এক ব্যক্তি। তিনি লেখেন, ‘ম্যাগির দাম হয়তো ৫০ টাকা। কিন্তু বিমানবন্দরে বিক্রি করতে গেলে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বেশ অনেকটা খরচ হয়। সেখানে খাবারের দোকান করার জন্য একটা বিশাল অঙ্কের টাকা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। এমনকি ব্যবসায় যা লাভ হয়, তার কিছুটা অংশও দিতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। ফলে একটু বাড়তি টাকা নেয়।’’