এই মরসুমে হেপাটাইটিস ই-তে আক্রান্ত হন অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা গরমের অস্বস্তি থেকে রেহাই দিলেও, এই সময় ঝুঁকি বাড়ে নানা রোগের। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, কনজাংটিভাইটিস ছাড়াও এই মরসুমে হেপাটাইটিস ই-তে আক্রান্ত হন অনেকেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সেই ঝুঁকি থাকে এই রোগের। এই রোগের জীবাণু মূলত জলবাহিত। আর বর্ষায় জলবাহিত সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই সুস্থ থাকতে সচেতন থাকা জরুরি। ঝুঁকি এড়াতে জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
হেপাটাইটিস ই এমনিতে খুব পরিচিত রোগ নয়। এই রোগের জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধলেও তাই অনেকে চিনতে পারেন না। সেই কারণে চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই এর উপসর্গগুলি জেনে রাখা জরুরি।
হেপাটাইটিস ই-এর উপসর্গ
খিদে কমে যাওয়া, ত্বক এবং চোখ হলদে হয়ে যাওয়া, বমি ভাব, পেশিতে ব্যথা, তলপেটে যন্ত্রণা, অত্যধিক দুর্বলতা। এর মধ্যে সবগুলিই যে একসঙ্গে দেখা দেয়, তা কিন্তু নয়। দুর্বলতা কিংবা পেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গ অনেকেই এড়িয়ে যান। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সেটা ঠিক নয়। বর্ষার মরসুমে শরীরে যে কোনও সমস্যা হলেই এক বার চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া জরুরি।
প্রতিরোধের উপায়
হেপাটাইটিস ই-এর জীবাণু সাধারণত খাবার এবং জল থেকেই শরীরে প্রবেশ করে। তাই খাবার এবং জল খাওয়া নিয়ে অতিমাত্রায় সচেতন হতে হবে।
ঠান্ডা খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। বাসি খাবার গরম করে খাওয়ার অভ্যাসও অস্বাস্থ্যকর।
জলও ফুটিয়ে খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল।
এ ছাড়াও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে রহবে। বাইরে থেকে ফিরে হাত না ধুয়ে খাওয়া উচিত নয়। সব সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি।
সবুজ শাকসব্জি, ফলমূল বেশি করে খাওয়া উচিত। রাস্তার ধারের খাবার একেবারেই খাওয়া ঠিক হবে না। দীর্ঘ ক্ষণ কেটে রাখা ফলও এড়িয়ে চললে ভাল।
মল, মূত্রত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া বাধ্যতামূলক। নয়তো হাতে থেকে যাওয়া জীবাণু ঝুঁকি বাড়াবে।
পরামর্শ
লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। অপেক্ষা করলে কিংবা ঘরোয়া টোটকায় সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টায় অনেকটা সময় পেরিয়ে যেতে পারে। তার চেয়ে শরীরে কোনও অস্বস্তি হলেই যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।