কী এই ডিটক্স জল? ছবি: সংগৃহীত
পুজোর পাঁচ দিন সকলেই একটু বেশি খাওয়াদাওয়া করেন। খানিক অনিয়ম, রাত জাগা এবং মদ্যপানও হয়ে যায়। তাই ওজনও ঝট করে বেড়ে যায় কয়েক কেজি। পুজোর পর তাই বাড়িতে ওজন মাপার যন্ত্রে দাঁড়ালে একটু ঘাবড়ে যেতেই পারেন। পুজোর আগে কয়েক দিন যে কষ্ট করে সকাল-সন্ধ্যা হাঁটলেন, স্যালাড-ওটস খেলেন আর নিয়ম করে যোগাসন করে কয়েক কেজি ওজন কমিয়ে ছিলেন, তা কি বৃথা গেল?অত ভেঙে পড়বেন না। যে কয়েক কেজি বাড়তি দেখাচ্ছে ওজন-মেশিনে, তার অনেকটাই সহজে আবার কমিয়ে ফেলা যায়। শরীরে জমে থাকা সব দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গেলেই ফের আগের ওজন ফিরে আসবে। তার জন্য প্রয়োজন কয়েক দিন খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা। দিনে মিনিট ১৫ হাঁটলেও আপনার শরীরের বাড়তি ‘ওয়াটার ওয়েট’ ঝরে যাবে। পুজোয় অতিরিক্ত নোনতা খাবার বা চিনি খাওয়া হয়ে যায়। শরীর থেকে সেগুলি বার করা প্রয়োজন। এই কাজেই সাহায্য করবে ‘ডিটক্স’ জল। মানে এমন এক পানীয় যা শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ টেনে বার করে দিতে পারবে।
এই ডিটক্স জল বানানো এমন কিছু কঠিন নয়। বাড়িতে খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই জল। রাতে তৈরি করে রাখলে পরের দিন খেতে পারবেন। সারা দিন ধরে একটু একটু করে চুমুক দিয়ে খেতে হবে। জেনে নিন তৈরি করার দু’রকম উপায়।
হলুদ-চা
আধ চা চামচ করে হলুদ ও আদা কুঁচি, এক চিমটি গোলমরিচ, ১ চা চামচ মধু এবং ২ কাপ জল নিন। আভেনে জল বসিয়ে আদা ও হলুদ দিন। ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন। বন্ধ করে মধু ও গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে কাপে ঢেলে পরিবেশন করুন।
ফলের ডিটক্স
পাতিলেবু, কমলালেবু, সরু করে কাটা শসা, আদা কুঁচি এবং পুদিনা পাতা প্রয়োজন এই পানীয় তৈরির জন্য। একটা বড় মুখওয়ালা কাচের বোতলে জল নিয়ে সব উপকরণগুলি দিয়ে দিন। সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। এ রকম ২টি বোতলে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে সারা দিন একটু করে চুমুক দিন। আপনি চাইলে আপেল, তরমুজ, আঙুর কিংবা যে কোনও রকমের মরসুমের ফলও দিতে পারেন।
জিরের ডিটক্স
জিরে বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। আর শরীরের বিপাক হার ঠিক থাকলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হজমশক্তিও বৃদ্ধি পাবে এতে। ১ চা চামচ সাদা জিরে, দেড় কাপ জল, আধ চা চামচ মধু নিন। একটি পাত্রে আগে শুকনো করে জিরে ভেজে নিন। কম আঁচে ৫-৬ সেকেন্ড রেখে এ বার জল দিয়ে দিন। এ বার ঢেকে নিয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটতে দিন। আঁচ নিভিয়ে খানিক ঠান্ডা হলে জিরে ছেঁকে জলটা খেয়ে নিন।