প্রতীকী ছবি।
যৌবনের টানটান মসৃণ ত্বকের জেল্লা হারাতে থাকে ৪০ পেরোলেই। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বলিরেখা দেখা দিতে থাকে।ত্বক ঝুলে যায়। খসখসে হয়ে পড়ে। আমাদের নিত্য ব্যস্ততার রুটিনে শরীর চর্চার জন্য প্রায় কোনও সময়েই বরাদ্দ থাকে না। ত্বকের যত্ন নিয়ে ভাবতে গেলে মনে হয় বিলাসিতা। কিন্তু শরীরের দেখভাল করার মধ্যেই খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ত্বকের পরিচর্যা। অনেকেই খেয়াল করে ঘন ঘন জল খেয়ে ত্বক আর্দ্র রাখেন। কেউ আবার বেরোনোর সময়েসানস্ক্রিন মেখে ত্বক রক্ষা করেন বাইরের ধুলোবালি বা অতিবেগুনি রশ্মি থেকে। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর কিছু যোগাসন। এক ঝলকে দেখে নিন সেগুলি কী কী—
বকাসন।
১) বকাসন: হাঁটু মুড়ে বসুন। মাথা নামিয়ে এনে মাটিতে ঠেকান। এবার হাতের তালু থেকে কনুই পর্যন্ত অংশে ভর দিয়ে পা দু’টি একসঙ্গে রেখে হাঁটু মোড়া অবস্থাতেই মাটি থেকে তুলুন। আপনার দেহের সম্পূর্ণ ভর থাকবে হাতের ট্রাইসেপসের উপর। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকার পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
হলাসন।
২) হলাসন: প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমরে ভর দিয়ে পা দু’টি আস্তে আস্তে উপরে তুলুন ৯০ ডিগ্রি কোণে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার উপর দিয়ে পিছনের দিকে নিয়ে যান। এর পর পিঠটা ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভাবে তুলুন, যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। বুকের কাছে নিয়ে আসুন থুতনি।
পদহস্তাসন।
৩) পদহস্তাসন: প্রথমে সমাস্থিতিতে দাঁড়ান। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে শরীরটাকে এমন ভাবে কোমর থেকে নীচে নামান, যাতে আপনার নাক হাঁটুস্পর্শ করে। হাত দু’টি রাখুন পায়ের দুই পাশে।
সর্বাঙ্গাসন।
৪) সর্বাঙ্গাসন: হলাসনের মতো প্রথমে শুয়ে পড়ে তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে পেলভিস ও পা দু’টি সোজাসুজি তুলে দিন। এবার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর উপর। খেয়াল করবেন যেন কাঁধ, টরসো, পেলভিস, পা এবং পায়ের পাতা একই সরলরেখায় থাকে। চেষ্টা করুন যেন আপনার থুতনি স্পর্শ করে বুক এবং দৃষ্টি স্থির থাকে পায়ের পাতার দিকে।