প্রতীকী ছবি।
প্রাচীন ভারতে শরীর-মন সুস্থ রাখতে যোগ অভ্যাসের চল ছিল। এখন আবার জনপ্রিয় হয়েছে অনেকের মধ্যে।
নিয়মিত কপালভাতি করার কথা বিশেষ ভাবে বলে থাকেন তাঁদের মধ্যেই কেউ কেউ। তা শুনে হয়তো কখনও করেও দেখেছেন। তার পরে আবার বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু জানেন কি এই কপালভাতির কত গুণ? কেন এত মানুষে এই আসন করার কথা বলে থাকেন?
কপালভাতি প্রাণায়ম হল শ্বাসের এক ধরনের আসন। ঠিক পদ্ধতিতে করতে পারলে এর মাধ্যমে শরীর ও মন সচল হয়। কারণ, নানা দিক থেকে যত্নে রাখে এই আসন। জেনে নিন কী কী গুণ আছে এই আসনের।
শারীরের উপরে প্রভাব
১) এই আসন খুব তাড়াতাড়ি পেটের মেদ ঝরায়
২) হজমের গোলমাল থাকলে, তা কমায়
৩) ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করে
প্রতীকী ছবি।
মনের উপরে প্রভাব
১) এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের উপরে প্রভাব ফেলে। আবার রক্তচলাচলও স্বাভাবিক করে। তার ফলে মস্তিষ্ক সচল হয়
২) দিনভর কাজের পরে শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে এই আসন
৩) নিয়মিত কপালভাতি করলে মনোসংযোগ ও স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয়
ত্বক ও চুলের যত্ন
১) ত্বকে অকালে ভাঁজ পড়লে দেয় না
২) চুল পড়ার সমস্যা কমে
৩) চুল পাকেও দেরিতে
কপালভাতি করবেন কী ভাবে?
এটি কঠিন আসন নয়। ধাপগুলি দেখে শিখে নেওয়া যায়। তবে কোনও শিক্ষকের সাহায্য নেওয়া সব সময়েই ভাল।
১) প্রথম একটি ফাঁকা জায়গায় শান্ত হয়ে বসুন
২) বসার ভঙ্গি হোক পদ্মাসনে
৩) কিছু ক্ষণ স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিন
৪) শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে কিছু ক্ষণ ধরে রাখুন
৫) এবার ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখবেন শ্বাস ছাড়ার সময়ে পেট যেন একটু করে ভিতরের দিকে ঢুকে আসে
৬) এই পদ্ধতিতে ২০ বার শ্বাস নিন ও ছাড়ুন
৭) মিনিট খানেকের বিরতি নিন
৮) আবার ২০ বার এই ভাবে শ্বাস ছাড়া-নেওয়া করে যায়। মোট একশো বার করার চেষ্টা করুন