প্রতীকী ছবি।
দ্রুতগতির জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত আমরা। মাঝেমাঝেই রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া, অত্যধিক রাত করে ঘুমোনো, শরীরচর্চায় অনীহা— এই ধরনের অভ্যেসগুলিকে প্রশ্রয় দিতে দিতে কখন যে বিপদের কিনারে দাঁড়িয়ে পড়ি, সেটা নিজেরাই জানি না। ফলে যে কোনও বয়সেই হঠাৎ করে থাবা বসাচ্ছে হৃদ্রোগ। বিশ্বে প্রায় ৫২ কোটি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত! ‘সেল্ফ লাভ’-এ বিশ্বাস করেন? করলে সবার আগে নিজের ‘হৃদয়’-কে ভালবাসুন।
আয়ুর্বেদমতে আপনার ডায়েটই পারে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে। তাই আয়ুর্বেদে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাবারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস সংযোজন করতে বলেন। আবার অনেকক্ষেত্রে বাদ দিতে বলেন আমাদের চেনা তথাকথিত কিছু ‘নিরাপদ’ খাবারও। তাই জেনে নিন আয়ুর্বেদ মতে হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে গেলে কী করা উচিত।
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে প্রতিদিন হলুদ খান।
কী কী নিয়ম মানলে ভাল থাকবে হৃদ্যন্ত্র?
১) হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে প্রতিদিন হলুদ খান। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদানটি হৃদ্যন্ত্রের ‘এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন’-কে উন্নত করে। নিয়মিত হলুদ খেলে হৃদ্যন্ত্রের ধমনীগুলিও নমনীয় হয়।
২) পাতে রাখুন সবুজ শাক-সব্জি। খেতে পারেন ঝিঙে, লাউ, পটল, চিচিঙ্গে, কুমড়ো ইত্যাদি সব্জি। এ ছাড়াও ডায়েটে রাখুন মুগডাল, মুসুর ডাল, টোফু, ভাত, বার্লি। এই খাবারগুলি ধমনী থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। ‘আর্টারি ব্লক’ হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
৩) রোজ কী অনুপাতে খাবার খাচ্ছেন, এটাও হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিনের ডায়েটে ৬০ শতাংশ শাক-সব্জি, ৩০ শতাংশ প্রোটিন ও ১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকা উচিত।
৪) হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতার জন্য ডায়েট থেকে টক জাতীয় খাবার বাদ দিতে বলেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদেরপরামর্শ অনুযায়ী হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে গেলে টমেটো,কমলালেবু, আনারস, লেবু, আঙুর খাওয়া উচিত নয়।তাই এই সব ফল এড়িয়ে চলুন। রান্নার সময় ভিনিগার ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন।
৫) ময়দার তৈরি লুচি বা পরোটা যতই খেতে ভাল লাগুক না কেন, হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে গেলে ময়দা খাওয়া চলবে না। এমনকি পছন্দের রেড মিটকেও বাদ দিন ডায়েট থেকে।