অফিসে ফেরার ব্যবস্থা শুরু হতেই বহু কর্মচারী চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। ছবি : সংগৃহীত
স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সব কিছুই আবার স্বমহিমায় নিজের জায়গায় ফিরে আসছে। কিন্তু গত দু’বছরে বাড়ি থেকে কাজ করে বেশির ভাগ কর্মীরই ঘরমুখী হওয়ার যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে, তার ঘোর যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না। তবে বিভিন্ন সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগ কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে পক্ষে। সমীক্ষা বলছে, অফিসে ফেরার ব্যবস্থা শুরু হতেই বহু কর্মচারী চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।
শুধু তা-ই নয়, অতিমারির সময়ে যে ব্যবসায়ীরা বা কর্মীরা অপেক্ষা করতেন অফিসে গিয়ে কাজ করার জন্য, তাঁরাও এখন আর বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।
দীর্ঘ দু’বছরের দূরত্ব, কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারা, ঘরের মধ্যে এক রকম বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেতেই তখন মানুষ অফিস থেকে কাজে ফেরার অজুহাত খুঁজতেন। অথচ বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীদের আবার অফিসমুখী করতে নানা রকমের প্রস্তাব দেওয়ার নজির রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই চিত্রটা একটু অন্য রকম হলেও বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্য খোলা প্রস্তাব দেওয়া রয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। কোথাও দু’দিন করে দফতরে ডাকছে, তো কোথাও আধ বেলা অফিসে কাজ করে বাকিটা বাড়ি থেকে করতে বলা হচ্ছে।
বিদেশের ছবিটাও অনেকটা এক রকম। আমেরিকার এক সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার জানাচ্ছেন, অফিসে গিয়ে কাজ করার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে শিফ্ট বদলে বদলে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই কথা জানাচ্ছেন গণজ্ঞাপন সংস্থার আর এক কর্মী। তবে এক বহুজাতিক সংস্থার এক কর্মী বলেন, ‘‘এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বাড়ি থেকে কাজ করার। এর ফলে অনেক সহজে ঘর এবং দফতর সামলানো যায়। তাই অনেকেই আর ফিরতে চাইছেন না।’’
আর এক ইঞ্জিনিয়ারের আবার বক্তব্য, যাতায়াতের সময়টুকু যে বেঁচে যায় বাড়ি থেকে কাজ করলে! সে কথা অনেক কর্মীর মনেই আছে। তাই মানবসম্পদ বিভাগ থেকে অফিসে ফিরতে বলা হলেও তাঁর বহু সহকর্মীই আর ফিরতে চাইছেন না আগের মতো অফিস থেকে কাজের ব্যবস্থায়।