প্রতীকী ছবি।
অনলাইনে হটডগ অর্ডার করেছিলেন তরুণী। খাবার আসার পর প্যাকেট খুলে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ। হটডগ ছাড়াও সেখানে রয়েছে একটি প্যাকেটভর্তি কোকেন। মেক্সিকোর বাসিন্দা ওই তরুণী সেলিনা গ়ঞ্জালেস সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে উদ্ধার করে ‘কোকেন রহস্য’। আটক করা হয় রেস্তরাঁর এক কর্মীকে।
হঠাৎই এক দিন দুপুরে হটডগ খাওয়ার ইচ্ছে জাগে সেলিনার। ‘সোনিক’ নামক মেক্সিকোর একটি জনপ্রিয় রেস্তরাঁ থেকে তা অর্ডার করেন। অর্ডার করার ৩০ মিনিটের মধ্যে হটডগ এসে পৌঁছয় সেলিনার কাছে। ঘড়ির কাটায় তখন দুপুর ৩টে। প্যাকেট থেকে খাবার বার করার সময় সেলিনার চোখে পড়ে মাদকের প্যাকেটটি। প্রথমে জিনিসটি আসলে কী তা বুঝতে পারছিলেন না। পরে হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে এবং গন্ধ শুঁকে দেখতেই বোধগম্য হয় তাঁর।
সেলিনা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ সেলিনার কাছ থেকে মাদকের প্যাকেটি সংগ্রহ করে ওই রেস্তরাঁয় যায়।
রেস্তরাঁয় প্রতিটি কর্মীকেই আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানতে পারে জেফার ডেভিড সালাজ়ার নামে রেস্তরাঁর এক কর্মী এই অর্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। রেস্তরাঁর অন্য কর্মীরা পুলিশকে জানান, অর্ডারটি বেরিয়ে যাওয়ার পর ডেভিডকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। কিছু যেন একটা খুঁজছিলেন। এই তথ্যগুলি হাতে আসার পর ডেভিডকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে ডেভিড স্বীকার করে নেন যে, মাদকের প্যাকেটটি তাঁরই। অর্ডার গোছানোর সময় কোনও ভাবে সেটি ব্যাগের মধ্যে চলে গিয়েছে। মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে ডেভিডকে আটক করেছে মেক্সিকো পুলিশ।