ইনস্টাগ্রাম সর্বস্বান্ত করল। ছবি:সংগৃহীত।
বাড়তি উপার্জনের আশায় সমাজমাধ্যমে একটি বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন তরুণী। ঘরে লক্ষ্মী আসার বদলে সর্বস্বাস্ত হতে হল ম্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা এক তরুণীকে। ২৯ বছর বয়সি ওই তরুণী পেশায় এক জন সফটওয়্যার ই়ঞ্জিনিয়ার। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতা তিনি। প্রতি মাসে যে বেতন পান, তা যথেষ্ট নয়। তাই বাড়তি উপার্জনের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ে ইনস্টাগ্রামে কাজের একটি বিজ্ঞাপন তাঁর চোখে পড়ে। বিজ্ঞাপনের সঙ্গেই একটা ইনস্টাগ্রাম লিঙ্ক দেওয়া ছিল। যোগাযোগের নম্বর সেই লিঙ্কেই দেওয়া ছিল। ওই তরুণী লিঙ্কে ক্লিক করে ফোন নম্বরে যোগাযোগও করেন।
ওই তরুণীকে অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠিয়ে বলা হয়েছিল পরিমাণে অল্প হলেও প্রথমে কিছু টাকা জমা রাখতে। মাসের শেষ বেতনের সঙ্গে সেই টাকার দ্বিগুণ সুদ পাবেন। তিনি সেই কথা মতো প্রথমে ৫০০ টাকা রেখেছিলে। ১৫ দিনের মাথায় সুদ-সহ আসলটা ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়ায় পর পর বেশ কয়েক বার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তবে প্রতি বারই গুগল পে-এর মাধ্যমে টাকা দেন তিনি। প্রতি বারই সুদ-সহ টাকা পাচ্ছিলেন। বাড়তি টাকা পাওয়াও বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে হয়নি তাঁর। বরং বেশি টাকা পাওয়ার লোভে দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। অথচ মাস পেরিয়ে গেলেও সুদ তো দূর, আসলও ফেরত পাননি। তার পরেই টনক ন়ড়ে তাঁর। তড়িঘড়ি স্থানীয় থানায় যান। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
প্রতারিত ওই তরুণী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে প্রতারকরা। তাই এই মাধ্যমটি ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে। বা়ড়তি উপার্জনের আশায় আমি যে ভুল করেছি, এমন যেন আর কেউ না করে।’’
পোস্ট কপি— বাড়তি উপার্জন করতে গিয়ে খোয়ালেন টাকা