—প্রতীকী চিত্র।
উপসর্গ দেখেও সেটা মামুলি সমস্যা ভেবে বেশির ভাগ মহিলাইঅধিকাংশ সময়ে তা এড়িয়ে যান। কিন্তু সেই সমস্যাই ক্যানসারের কারণ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই উদাসীনতার কারণেইদেশে ক্রমশ মহিলাদের ক্যানসারের হার বাড়ছে। এই রোগের চিকিৎসায় আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে আলোচনা করলেন শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারিহাসপাতালের ক্যানসার চিকিৎসকেরা।
শহরের প্রায় ৬০ জন ক্যানসার চিকিৎসক মিলে তৈরি করেছেন একটি মঞ্চ। তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে বুধবার গাইনি-অঙ্কোলজির বিষয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিলেন মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের গাইনি-অঙ্কোলজির শল্য চিকিৎসক হেমন্ত বি টোংগাঁওকর। ওই মঞ্চের সভাপতি, ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘দেশে মহিলাদের ক্যানসারের হার ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকার একটি বড় অংশও রয়েছে। তাই এই ধরনের আলোচনা আগামী দিনে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক সহযোগিতা করবে। রোগীরাও উপকৃত হবেন।’’ আর এক জন ক্যানসার চিকিৎসক সায়ন পাল জানালেন, স্তন ক্যানসারের পাশাপাশি মহিলাদের মধ্যে এখন আরও তিনটি ক্যানসারের প্রকোপ ভাল মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। তা হল, জরায়ুমুখ, জরায়ু ও ডিম্বাশয়েরক্যানসার। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও এই তিনটি ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরে পেট ফুলে যাওয়া, মোটাহওয়া, হজমের গোলমাল, ঋতুস্রাবের পরে রক্তপাত, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের মতো সমস্যা দেখা গেলে তা উপেক্ষা করেন মহিলারা। সামান্যবা মামুলি সমস্যা বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু এই সমস্ত উপসর্গের নেপথ্যেই লুকিয়ে থাকে জরায়ুমুখ, জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার।আইসিএমআর-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে মহিলাদের স্তন ক্যানসারের হার ২৪.৮%, জরায়ুমুখ ক্যানসারের হার ৯.৯% এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের হার ৭.৬%। এ দিনের আলোচনায় অঙ্কোপ্যাথলজি, রোবোটিক সার্জারির পাশাপাশি উন্নত রেডিয়োথেরাপি, কেমোথেরাপি ও ইমিউনোথেরাপি ব্যবহারের প্রসঙ্গ উঠে আসে। কী ভাবে ওই সমস্ত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে মহিলাদের ক্যানসারের মোকাবিলা করা সম্ভব, তা নিয়ে মত বিনিময় করেন চিকিৎসকেরা।