ঠোঁট দিয়ে যায় চেনা! ছবি: সংগৃহীত।
ঠোঁটের আমি, ঠোঁটের তুমি, ঠোঁট দিয়ে যায় চেনা! বছর ২৬-এর আন্দ্রে ল্যাভেনোভার সঙ্গে এমন বিশেষণ একেবারে যথোপযুক্ত। ঠোঁটের জন্যেই তাঁর পরিচিতি। তিনিই নাকি বিশ্বের অন্যতম বড় ঠোঁটের অধিকারিণী। আন্দ্রে অবশ্য এমন খেতাব পেয়েও সন্তুষ্ট নন। তাই সম্প্রতি তিনি ঠোঁটে বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। সেটাই বড়দিনে আন্দ্রের নিজেকে দেওয়া উপহার।
আন্দ্রের ঠোঁট এমনিতেই অত্যন্ত পুরু। সৌন্দর্য খুঁজতে গেলে প্রথমে চমকে উঠতে হয় বটে। তবে আন্দ্রে অবশ্য এমনই ঠোঁট চান। সেই কারণেই একাধিক অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। নতুন বছরে নতুন কিছু করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভোল বদলে ফেলতে এই ধরনের অস্ত্রোপচার যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। আন্দ্রে অবশ্য টাকাপয়সা নিয়ে ভাবেন না। শুধু ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করতেই কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছেন তিনি। আন্দ্রের কথায়, ‘‘আমি টাকার হিসাব করি না। এত দিন প্রচুর টাকা খরচ করেছি। ভবিষ্যতে আরও করব। কারণ, আমি চাই সকলের চেয়ে আমাকে আলাদা দেখাক।’’
সবচেয়ে পুরু ঠোঁটের খেতাব তিনি ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। আন্দ্রের পরবর্তী লক্ষ্য সবচেয়ে তীক্ষ্ণ এবং সরু থুতনি। তার জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন। কিছু অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকটি বাকি। সেগুলি নতুন বছরে করানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। আপাতত তিনি ঠোঁট আরও খানিকটা আকর্ষণীয় করার কাজে মগ্ন রয়েছেন।
২০১৮ সাল থেকে তিনি নিজেকে বদলে ফেলার এই পথে হাঁটা শুরু করেছেন। পাঁচ বছরে কম করে ২৫টি অস্ত্রোপচার করেছেন শরীরের বিভিন্ন অংশে। তবে ঠোঁটের প্রতি তাঁর একটা আলাদা দুর্বলতা ছিল। তাই একটা সময়ের পর সব কিছু ছেড়ে ঠোঁটের দিকেই নজর দিয়েছিলেন। অবশ্য সে দিকে তিনি সফল। সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়েছে। আন্দ্রে কোনও সম্পর্কে নেই। জীবনে এক জন কেউ আসুক, সেটা তিনি চান। পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বাইরে যেতে কেউ অস্বস্তি বোধ করবেন, এমন কাউকে তিনি চান না। তবেই সেই জন্যেই নাকি এখনও প্রেম আসেনি আন্দ্রের জীবনে।