ছক ভেঙে বিগত ছ’মাস ধরে দেহের কোনও অংশের রোম না তুলে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার এক তরুণী। ছবি- সংগৃহীত
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে দেহের রোম তুলে পরিষ্কার করে রাখেন অনেকেই। হাত-পায়ের রোমের কথা যদি ছেড়েও দেওয়া হয়, বাহুমূলের রোম থাকলে হাতকাটা পোশাক পরতে অস্বস্তি বোধ করেন অধিকাংশ মেয়েরাই। জনসমক্ষে হাত তুলতেও দ্বিধা বোধ করেন অনেকে। সেই ছক ভেঙে বিগত ছ’মাস ধরে দেহের কোনও অংশের রোম না তুলে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার এক তরুণী।
ভবিষ্যতে আর কখনও গায়ের রোম তুলবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন টেলর। ছবি- সংগৃহীত
২২ বছরের আমেরিকান মডেল টেলর মিশেল সমাজমাধ্যমে সকলের উদ্দেশে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি জানতে চান, কেন অল্প বয়স থেকে শুধুমাত্র মেয়েদেরই দেহের বিভিন্ন অংশের রোম তোলার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই তরুণী জানান, মাত্র ১২ বছর বয়সে তাঁকে হাতে রেজ়ার ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়েছিল, “মেয়েদের বাহুমূলে রোম থাকা মোটেই শোভনীয় নয়।”
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সেই অনুশাসন মেনে এলেও বিগত ছ’মাস যাবৎ দেহের কোনও অংশের রোম তুলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। টেলর বলেন, “আমি দীর্ঘ দিন ধরে এই নিয়ম মেনে রোম তুলে আসছি। আমার পরিবার এই বিষয়ে অত্যন্ত গোঁড়া। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝতে পারি, এই প্রথা মেনে চলার কোনও মানেই হয় না। যা স্বাভাবিক, তার জন্য লজ্জা পাওয়ার তো কোনও কারণ নেই।”
টেলর মনে করেন মেয়েদের দেহের রোম দেখে যদি কারও খারাপ লাগে, সেটি তাঁর সমস্যা। এই চিন্তাভাবনা থেকেই বোঝা যায়, ওই মানুষটি আসলে কেমন। সমাজমাধ্যমে নানা জনের নানা রকম কটাক্ষের মুখে পড়েও টেলর তাঁর সিদ্ধান্তে অবিচল। তিনি বলেন,“ভবিষ্যতে আর কখনও গায়ের রোম তুলব কি না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। যে যা খুশি বলুক, আমি সে সব গায়ে মাখি না। যা কিছু খারাপ, তা আমি ঝেড়ে ফেলতে শিখে গিয়েছি।”