শরীর যেমন আর্দ্র থাকে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জরুরি খনিজের জোগানও দেয় এই পানীয়। ছবি- সংগৃহীত
যে কোনও ধরনের অসুস্থতায় পথ্য হিসাবে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আট থেকে আশি, যে কোনও বয়সিরাই ডাবের জল খেতে পারে। তেষ্টা মেটাতে সাধারণ জলের বদলে ডাবের জল খাওয়ার বেশ কিছু সুবিধাও আছে। এতে শরীর যেমন আর্দ্র থাকে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জরুরি খনিজের জোগানও দেয় ডাবের জল। ম্যাগনেশিয়াম থেকে সোডিয়াম, পট্যাশিয়াম, ক্যালশিয়াম— সব আছে এই পানীয়ে। ব্যায়ামের পরে খাওয়ার জন্য এই পানীয়ই সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ফলে বোতলবন্দি যে কোনও ধরনের পানীয়ের চেয়ে অনেক বেশি খাদ্যগুণে ভরপুর হল ডাবের জল।
ডাবের জলে ক্যালোরি এবং কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। ছবি- সংগৃহীত
১) শরীর আর্দ্র রাখে
ডাবের জলে ক্যালোরি এবং কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে এই পানীয় খেলে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। ডাবের জলে থাকা বিভিন্ন খনিজ শরীরকে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
২) রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ডাবের জল শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। যাঁদের ইনসুলিন হরমোন সঠিক মাত্রায় নিঃসৃত হয় না, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ওষুধ খেতে হয়। ডাবের জল তাঁদের জন্যও উপকারী।
৩) হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে পারে ডাবের জল। এ ছাড়াও ডাবের জলে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
৪) কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখে
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এই ক্ষেত্রে সাধারণ জলের চেয়ে কার্যকরী হল ডাবের জল।
৫) ত্বকের জন্য ভাল
ব্রণ, শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, অল্প বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা রুখে দিতে পারে ডাবের জল। এ ছাড়াও ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগছোপ নির্মূল করতে বহু যুগের টোটকা হল ডাবের জল। খাওয়ার পাশাপাশি ডাবের জল মাখলে গুটি বসন্তের দাগ, ব্রণ বা কোনও ক্ষতের দাগ সারিয়ে ফেলা যায়।