ডাকটিকিট শিশুদের শেখায় অনেক কিছু। ছবি: সংগৃহীত
যে কোনও ধরনের শখই শিশুদের কিছু না কিছু শেখায়। হালে ফ্লোরিডার একার্ড কলেজের মনস্তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মিরান্ডা গুডম্যান-উইলসন তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ফিলাটেলি বা ডাকটিকিট সংগ্রহের শখ যদি শিশুদের মধ্যে তৈরি করা যায়, তা হলে তাদের বেশ কয়েকটি উপকার হয়।
মন স্থির করে, ধৈর্য বাড়ায়: ডাকটিকিট জমানোর শখ ভিডিয়ো গেমের বা কার্টুন দেখার নেশার চেয়ে একদম আলাদা। ভিডিয়ো গেম বা কার্টুন শো সাময়িক মনোনিবেশ দাবি করে। কিন্তু ডাকটিকিট জমালে দীর্ঘক্ষণ সেটা নিয়ে থাকতে হয়। ফলে শিশুদের মধ্যে মন স্থির করার প্রবণতা বাড়ে, তাদের ধৈর্য বাড়ে। এমনটাই দাবি মিরান্ডার।
পড়াশোনার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়: প্রতিটি ডাকটিকিটের পিছনে কোনও না কোনও ইতিহাস আছে। ফলে ডাকটিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে শিশুরা সেই ইতিহাসের প্রতি আকৃষ্ট বোধ করে। এতে পড়াশোনার প্রতি তাদের আকর্ষণ বাড়ে। দীর্ঘ দিন ডাকটিকিট জমানোর অভ্যাস পড়ুয়াদের ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ দেয়। বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট সেই দেশের অবস্থান, ভৌগোলিক চরিত্র বা সংস্কৃতি সম্পর্কেও শিশুদের আগ্রহী করে তোলে।
শিল্পের প্রতি আগ্রহ: বেশ কিছু ডাকটিকিটে থাকে বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি বা বানানো ভাস্কর্য। ফিলাটেলি-র সূত্রে শিশুরা পৌঁছে যায় এই সব ভাস্কর্য বা ছবির কাছাকাছি। শিল্পের ইতিহাস সম্পর্কে এখান থেকে তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
ফোনে মন কম: অনলাইন ক্লাস, পড়াশোনার কারণে শিশুদের ‘স্ক্রিন টাইম’ বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এতে চোখের তো বটেই, মনের উপরেও নানা ধরনের চাপ পড়ে। ডাকটিকিট সংগ্রহের অভ্যাস পারে এর থেকে শিশুদের বের করে আনতে।
নিজের পছন্দ: বিভিন্ন ধরনের ডাকটিকিট জমানো যেতে পারে। কেউ দেশভিত্তিক ডাকটিকিট জমান, কেউ বা সময়ভিত্তিক, আবার কেউ কোনও একটা বিষয় ধরে। কোন ধরনের ডাকটিকিট জমালে নিজের ভাল লাগবে, তা বুঝতে হয় একজন শিশুকেই। এতে তার পছন্দ-অপন্দের বোধটা স্পষ্ট হয়ে যায়।