Indoor Plant

বাড়িতে বাগান বানানোর শখ? কম ঝঞ্ঝাটে বাঁচে কোন কোন গাছ, হদিশ রইল এখানে

প্রায় ক্যাকটাস বা কাঁটাগাছ-ধর্মী হলেও, এই ধরনের গাছ নিজেদের পাতায় জল জমিয়ে রাখে সবচেয়ে বেশি। তাই এদের বাঁচাতে সবচেয়ে কম পরিশ্রম করতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ১৩:০৫
Share:

কলকাতার পরিবেশে সহজে বাঁচে এই ধরনের গাছ। ছবি: সংগৃহীত

এক চিলতে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাই হন, কিংবা দোতলা বাড়ির, লাগোয়া ছোট্ট বাগানের মালিক হতে চান অনেকেই। কিন্তু কোন ধরনের গাছ স্বল্প আয়াসে এখানকার পরিবেশে বাঁচিয়ে রাখা যাবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকেই।

Advertisement

কলকাতার মতো কিছুটা আর্দ্র আবহাওয়ায় সবচেয়ে কম ঝঞ্ঝাটে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব সাকুলেন্ট গোত্রের গাছ। প্রায় ক্যাকটাস বা কাঁটাগাছ-ধর্মী হলেও, এই ধরনের গাছ নিজেদের পাতায় জল জমিয়ে রাখে সবচেয়ে বেশি। তাই এদের বাঁচাতে সবচেয়ে কম পরিশ্রম করতে হয়। এখানকার পরিবেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু সাকুলেন্টের হদিস রইল।

অ্যাডেনিয়াম।

অ্যাডেনিয়াম: ‘মরুভূমির গোলাপ’ হিসেবে পরিচিত এই গাছ বিখ্যাত নানা রঙের ফুলের জন্য। মূলত বসন্ত আর গ্রীষ্মে এই গাছে গোলাপি-লাল রঙের ফুল ধরে। তবে এখন আরও নানা রঙের ফুলের অ্যাডেনিয়াম পাওয়া যায়। এর কাণ্ড কিছুটা বিষাক্ত। ফলে বাড়িতে শিশু এবং পোষ্য থাকলে একটু সাবধান হওয়া উচিত।

Advertisement

একেভেরিয়া।

একেভেরিয়া: গোলাপের মতো চেহারার এই সাকুলেন্ট অত্যন্ত জনপ্রিয়। কলকাতার মতো আবহাওয়ায় দারুণ ভাল থাকে এই গাছ। সবুজ বা বাদামি রঙের একেভেরিয়া খুবই জনপ্রিয় সাকুলেন্ট।

হায়োরথিয়া।

হায়োরথিয়া: খুব কম পরিশ্রম করেই এই গাছকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। কড়া রোদ থেকে একটু দূরে রেখে পরিমিত জল দিলেই বছরের পর বছর সহজে বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। প্রায় কোনও যত্ন নিতে হয় না বলেই, এটা সবচেয়ে জনপ্রিয় সাকুলেন্ট। সবুজ পাতার ডগায় অনেক সময় কাঁটার মতো ধার হয়, তাই শিশুদের নাগালে বাইরে রাখাই ভাল।

সেডাম।

সেডাম: অল্প যত্নেই খুব ঘন হয়ে যেতে পারে এই সাকুলেন্ট। ঝুলিয়েও রাখা যায় এই গাছ। হালকা সবুজ থেকে নীলচে রঙের হতে পারে এই গাছ। খুব দ্রুত বাড়ে। অল্প আলো আর জলই যথেষ্ট। এমনকি খুব সহজেই ঘরের ভিতরেও রাখা যায় এই সাকুলেন্ট গাছটি।

মুন ক্যাকটাস।

মুন ক্যাকটাস: প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি নয়, মানুষের হাতে তৈরি এই সাকুলেন্ট আসলে ২টি গাছের যুগলবন্দি। একটি গাছের উপর অন্যটিকে কেটে বসানো হয়। উপরেরটি নীচেরটির থেকে খাবার সংগ্রহ করে। সাধারণত নীচের গাছটি সবুজ, উপরেরটি লাল, হলুদ বা অন্য রঙের হয়। সহজে বাঁচানো যায় এবং দেখতে সুন্দর বলে এই গাছ খুবই জনপ্রিয়।

খুব স্বল্প পরিশ্রমে সাকুলেন্ট বাঁচিয়ে রাখা যায় বলেই, এই ধরনের গাছ এত জনপ্রিয়। তা ছাড়া এই ধরনের গাছ রাখার জন্য খুব বেশি জায়গাও লাগে না। তাই ছোট ফ্ল্যাটেও সহজে বাঁচিয়ে রাখা যায় এদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement