কর্মখালির বিজ্ঞাপন দেখা মাত্রই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী নানা সংস্থায় আবেদন করতে শুরু করেছেন? ছবি: সংগৃহীত।
স্কুল-কলেজের পড়াশোনা শেষ করেই চাকরির সন্ধান করছেন। কর্মখালির বিজ্ঞাপন দেখা মাত্রই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী নানা সংস্থায় আবেদন করতে শুরু করেছেন। মাসখানেক অপেক্ষা করার পর উল্টো দিক থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে আবার খোঁজখবর শুরু করেছেন। হঠাৎ এক দিন জানতে পারলেন, লোক নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বার বার চেষ্টা করেও কোনও ফল না মেলায় শেষকালে ভাগ্যের দোষ দিচ্ছেন। কোনও কারণ ছাড়া এমন ভাবে বার বার প্রত্যাখাত হতে কারই বা ভাল লাগে? মনে মনে ভাবছেন, হয়তো প্রতিযোগিতার বাজারে আপনার পড়াশোনার যা মান, তা অন্যদের তুলনায় নিতান্তই কম। তবে, হাল ছাড়ার পাত্র আপনি নন। তাই আরও পরিশ্রম করার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু কঠোর পরিশ্রম করাই যথেষ্ট নয়। চাকরির আবেদনের পদ্ধতিতে কোনও ভুল হচ্ছে না তো?
চাকরির সন্ধান করার ক্ষেত্রে যোগাযোগ স্থাপন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত।
১) অভিজ্ঞতার অভাব
চাকরি ক্ষেত্রে পড়াশোনার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল কাজের অভিজ্ঞতা। কারণ, পড়াশোনার পর মাঠে নেমে কাজ করতে গেলে বোঝা যায়, আসলে পড়াশোনার সঙ্গে হাতেনাতে কাজ করার খুব একটা মিল নেই। তাই কর্মক্ষেত্রে কে কেমন কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২) যোগাযোগের অভাব
চাকরির সন্ধান করার ক্ষেত্রে যোগাযোগ স্থাপন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই যোগাযোগ মাধ্যম দিয়েই বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে ওঠে। কোনও সংস্থায় আদৌ কোনও শূন্যপদ রয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
৩) আবেদনপত্র
জীবিকার সন্ধান করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য আবেদনপত্র তৈরি করাও বিশেষ একটি দক্ষতার পরিচয় রাখে। সুন্দর করে লেখা ‘সিভি’, ‘কভার লেটার’ স্কুল-কলেজে পাওয়া নম্বরের পাশাপাশি আবেদনপত্রের মান আরও বৃদ্ধি করে।