মোমবাতির কিছু উপাদান ডেকে আনতে পারে বিপদ।
ঘর সাজাতেই হোক, কিংবা সুগন্ধের জন্যই হোক— মোমবাতি অনেকেরই পছন্দের। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার পছন্দের মোমবাতি ডেকে আনছে নানা ধরনের বিপদ?
তবে এই বিপদের হাত থেকে বাঁচার রাস্তা আছে। তার জন্য মোমবাতি ত্যাগ করতে হবে না। শুধু একটু সচেতন ভাবে বেছে নিতে হবে উদ্ভিজ্জ মোমের বাতি। কেমন সেই মোমবাতি? দেখে নেওয়া যাক।
সাধারণত মোমবাতি তৈরি হয় প্যারাফিন নামক পদার্থ থেকে। এই প্যারাফিন পাওয়া যায় পেট্রোলিয়াম থেকে। এই প্যারাফিন সে ভাবে কোনও ক্ষতি করে না। কিন্তু শুধুমাত্র প্যারাফিনে তৈরি মোমবাতি খুব দ্রুত জ্বলে যায়। ফলে এতে মেশানো হয় প্রাণীজ চর্বি। এই চর্বি মোমবাতির জ্বলার হার কমায়। একই কাজ করতে পারে নারকেল তেলও। কিন্তু নারকেল তেলের দাম তুলনায় বেশি। তাই প্রাণীজ চর্বিই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মোমবাতি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।
এই প্রাণীজ চর্বিই ডেকে আনে নানা ধরনের বিপদ। মোমবাতি জ্বলার সময় এই প্রাণীজ চর্বি জ্বলে তৈরি হয় নানা ধরনের বিষাক্ত গ্যাস।
তাই কেনার সময় দেখে নেওযা উচিত, আপনার মোমবাতি পুরোপুরি উদ্ভিজ্জ কি না। নারকেল তেল থেকে তৈরি হওয়া মোমবাতি খুবই নিরাপদ। একই সঙ্গে পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকারক নয়। আর যদি সুগন্ধের কথা ভাবেন? তা হলেও বাদ দেওয়া উচিত প্রাণীজ চর্বি থেকে তৈরি হওয়া মোমবাতি। কারণ উদ্ভিজ্জ মোমবাতি বেশি সুগন্ধযুক্ত।
এ ছাড়াও আরও একটা সুবিধাও আছে উদ্ভিজ্জ মোমবাতির। এগুলির জ্বলার গতি তুলনায় কম। ফলে খরচের নিরিখেও প্রাণীজ চর্বি-নির্ভর মোমবাতির চেয়ে এগুলি অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।