কেন নিরামিষাশী হয়েছিলেন বিরাট? ছবি: শাটারস্টক।
একাধিক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রিয় খাবার বাটার চিকেন। ২০১৮ সালে হঠাৎই জানালেন, তিনি আর আমিষ খাবার খাবেন না। বিরাট হঠাৎ কেন নিরামিষাশী হয়ে গেলেন, এই প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট নিজেই খোলসা করলেন রহস্য।
ভারতীয় টিমের এই প্রাক্তন অধিনায়ক কিন্তু যেই ফর্মেই থাকুন না কেন, ফিটনেস নিয়ে সদাসতর্ক। ফিটনেস নিয়ে কোনও রকম আপস তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। বিরাট এক জন ক্রীড়াবিদ। তাই তাঁকে সর্বদা ফিট তো থাকতেই হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে প্র্যাকটিস আর দীর্ঘ ক্ষণের ভারী ওয়ার্কআউট তাঁর রোজের রুটিনের অংশ। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে গিয়েই নিরামিষাশী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট।
২০১৮ সালে ঘাড়ে আঘাত পান বিরাট। তাঁর সার্ভাইকাল স্পাইন অর্থাৎ, মাথা ও ঘাড়ের সংযোগকারী মেরুদণ্ডের অংশে চোট লাগে। সেই যন্ত্রণা বিরাটের ঘাড় ছাড়িয়ে বাহু পর্যন্ত নেমে আসে। বিরাট বলেন, ‘‘স্নায়ুগুলিতে ভীষণ যন্ত্রণা হত। রাতের পর রাত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি ঘুমোতে পারতাম না। সারা রাত বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করতাম। আমি এক জনকে চিনতাম, যিনি আকুপাঞ্চার ট্রিটমেন্ট করাতেন। তিনি বলেন, আমার পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এই সমস্যা দূর করার জন্য হাড় থেকে ক্যালশিয়াম বেরিয়ে এসে পাকস্থলীতে জমতে শুরু করে। ভাল ভাবে কাজ করার জন্য পাকস্থলীতে ভাল মাত্রায় ক্ষার থাকা জরুরি। আর বেশি অ্যাসিড জমা হওয়ায় পুরো পরিপাকতন্ত্রটির কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তিনিই আমাকে বলেন, ডায়েটে মাছ-মাংসের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। সেই দিনের পরে রাতারাতি আমি আমার ডায়েট বদলে ফেলি। এখন আমি ভীষণ খুশি যে, সে দিন আমি ওই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম।’’