সংক্রমণের কারণে হৃদ্যন্ত্রের পেশির শক্তি কমে যেতে দেখা যাচ্ছে। ফাইল চিত্র
কোভিড এমন একটি ভাইরাস যা শ্বাসনালী দিয়ে নীচে নেমে যাচ্ছে খুব কম সময়ের মধ্যে। মুখ কিংবা নাক দিয়ে গলায় পৌঁছয়, তার পরে সোজা চলে যায় ফুসফুসে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতে চিকিৎসা পেলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন কোভিড রোগী। কিন্তু তার পরে অনেক দিন ধরে চলে সেই রোগের জের। এই রোগের নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তাই সেরে ওঠার পরে মাস ছয়েক অন্তত খুব সাবধানে থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা। সম্প্রতি অক্সফর্ড জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, হৃদ্যন্ত্রের উপরে বিশেষ ভাবে প্রভাব পড়ছে করোনাভাইরাসের।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে বেশ ভাল ভাবে হৃদ্যন্ত্র পরীক্ষা করানো দরকার। চিকিৎসকেরা বলছেন, সংক্রমণের কারণে পেশির শক্তি কমে যায়। যার জেরে হার্টের কাজ করার ক্ষমতা অনেক সময়ে কমে যাচ্ছে। কারও যদি সামান্য বুকে ব্যথা হয়, তবেই পরীক্ষা করাতে হবে। তাতে বোঝা যাবে কতটা ক্ষতি করেছে কোভিড। হৃদ্যন্ত্রের পেশির শক্তি কমে গেলে হার্ট ফেল করার মতো ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
কোন কোন অসুবিধা হলে বুঝতে হবে হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে? হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার সঙ্কেত ঠিক কী? পা ফুলে যাওয়া, বারবার কাশির দমক, হাপ ধরে যাওয়া, বুক দরফর করা। এ ছাড়াও, অতিরিক্ত ক্লান্তি, খিদে না হওয়ার মতো অস্বস্তি টানা চলতে থাকলে সতর্ক হতে হবে।