প্রতীকী ছবি।
বন্ধুদের সঙ্গে বারান্দায় বসে রয়েছেন আর তুমুল মশার কামড় খাচ্ছেন। আপনার বন্ধুদের বললে, তারা বলছে, মশা আছে বটে, কিন্তু তেমন কামড়াচ্ছে না! আপনাকে কি তাহলে একাই কামড়াচ্ছে মশা? বেশ মজা করে লিখলেও এরকম কিন্তু হয়েই থাকে।
২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, মশারা কিছু লোককে বেশিই ‘ভালবাসে’! আসলে তাদের দেহে এমন ধরনের কিছু রাসায়নিক নির্গত হয়, যেমন ধরা যাক ল্যাক্টিক অ্যাসিড, সেগুলো মশাদের বেশি করে আকৃষ্ট করে। আবার ধরা যাক যাঁদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তাঁদের মশা ‘এ’ ও ‘বি’ রক্তের গ্রুপের চেয়ে একটু বেশিই পছন্দ করে।
এই যে মশার কামড় বেশি খাওয়া, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের জিনও। কার্বন ডাইঅক্সাইডকে ধরেই মশারা তাঁদের কামড়ানোর উপযুক্ত লোক খোঁজে। গর্ভবতী মহিলা বা বেশি মেদযুক্ত মানুষের শরীরের বিপাকহার বেশি হওয়ায় মশা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কেবল এটাই নয়, গাঢ় রঙের জামা পরলেও মশা বেশিই ধেয়ে আসে। এটা অবশ্য আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এটা জানি না যে, খুব বেশি চলে-ফিরে বেড়ালে বা গতিতে থাকলেও মশার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে পারেন আপনি।
প্রতীকী ছবি।
খেয়াল রাখুন
১) রক্তের গ্রুপ ‘ও’ হলে মশা কামড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকে।
২) শরীর থেকে ল্যাক্টিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়া নির্গত করে যাঁরা, তাঁদের মশা বেশি কামড়ায়।
৩) বেশি পরিমাণে কার্বন ডাইঅক্সাইড ছড়ালেও মশার কামড় বেশি খেতে হবে।
৪) শরীরের তাপমাত্রা যাঁদের একটু বেশি কিংবা যাঁরা বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল খান এবং শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তাঁদের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।
৫) জিনগত সমস্যা থাকলেও খেতে হবে মশার কামড়।
এসব থেকে মুক্তি পেতে হালকা, একটু ঠাস বুননের পোশাক পরুন, যাতে মশা না কামড়াতে পারে।