প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বদলে গিয়েছে অনেক নিয়ম। আগে আক্রান্ত হওয়ার দিন সাতেক পর থেকে মানুষ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতেন। কিন্তু এখন সেটা উল্টে গিয়েছে। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার বা উপসর্গ দেখা পাওয়ার ৫ দিন পর থেকে আরও ৫টা দিন খুব জরুরি। সে সময় অনেকের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়টা খুব সাবধানে থাকতে হবে। এবং অক্সিজেনের মাত্রা, দেহের তাপমাত্রা, রক্তচাপ— এগুলি আরও ঘন ঘর মাপতে হবে। নয়ত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কোভিড আক্রান্ত হলে প্রথম কয়েকদিন ঠিক বোঝা যায় না, আপনার সংক্রমণ কতটা গুরুতর। সব উপসর্গ ঠিক করে না-ও বোঝা যেতে পারে। তবে ৫ দিনের পর থেকে সব রকম উপসর্গ দেখা যায় শরীরে। এবং কোভিডের প্রভাব ভবিষ্যতে কতটা ভোগাবে আপনাকে, তা নাকি বোঝা সম্ভব এই সময়েই। এমনটাই মত বেশির ভাগ চিকিৎসকের। ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক অরিন্দম কর এ বিষয়ে বললেন, ‘‘প্রথম ২ থেকে ৩ দিন শরীর ভাল করে বুঝতে হবে। পাল্স রেট, অক্সিজেনের মাত্রা এবং দেহের তাপমাত্রা বারে বারে মাপা ছাড়া তেমন কিছু করণীয় নয়। সঙ্গে স্বাস্থ্যকরা খাবার, প্রচুর পরিমাণে জল বা অন্য পানীয় পান করতে হবে। ৪ থেকে ৬ দিন আরও সতর্ক হতে হবে। দেখতে হবে জ্বর বাড়ছে কি না। বা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে কিনা। আমরা সাধারণত ৬ দিনের পরও যদি দেখি রোগীর মধ্যে কোনও রকম উন্নতি হচ্ছে না, তখন স্টেরয়েড শুরু করার কথা ভাবি, তার আগে নয়।’’
কী হতে পারে
আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের পর যাবতীয় উপসর্গ আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট বা জ্বর। অক্সিজেনের মাত্রা খুব কমে গেলে বা জ্বরের প্রভাবে জ্ঞান হারানোর মতো পরিস্থিতি হলে এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।
কাদের ভয় বেশি
যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহ বেশি সর্তক হতে হবে। তবে এখন কমবয়সিদের মধ্যে কোভিডের ভয়াবহ প্রভাব দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ৭-৮ দিনের মাথায় এতটা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে।