এই সময়ে বেশি করে সাবধান হতে হবে ডায়াবিটিসের রোগীদের। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, করোনা কালে তাঁদের বেশি সাবধান হতে বলছেন চিকিৎসকেরা। পরিসংখ্যানও বলছে, ডায়াবিটিস রোগীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
কারণ: ডায়াবেটিকদের বেশি মাত্রায় করোনা সংক্রমণের কারণ শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যাওয়া। রক্তের অতিরিক্ত শর্করা ইনসুলিন উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। পাশাপাশি কমে যায় খাবার থেকে পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করার ক্ষমতাও। কোনও অসুখে আক্রান্ত হলে অন্যরা যে সময়ের মধ্যে সেরে ওঠেন, ডায়াবিটিসের রোগীদের সময় লাগে তার চেয়ে অনেক বেশি।
করোনা সংক্রমণ হলে ডায়াবিটিসের রোগীদের কিছু বিষয়ে কড়া নজর দিতে হবে। সংক্রমণ যদি না-ও হয়, তা হলেও কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।
ত্বকের সমস্যা: কোভিডের ফলে অনেকেরই ত্বকের সমস্যা হয়। কিন্তু ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকা মানুষের এই সমস্যা বেশি মাত্রায় হতে পারে। এমনকি তাঁদের জন্য এটি হতে পারে কোভিডের পূর্বাভাস। তাই এমন কিছু হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফুসফুসের সংক্রমণ: কোভিড আক্রান্তরা অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু ডায়াবেটিকদের জন্য এই সমস্যা আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমন কিছু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অক্সিজেনের মাত্রা: ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মক পরিমাণে কমে যেতে পারে। কোনও ডায়াবিবিটেসর রোগী এক বার কোভিডে আক্রান্ত হলে, তাঁকে অক্সিজেনের মাত্রার দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে।
গ্লুকোজের মাত্রা: এটি বেড়ে যাচ্ছে না তো? সে ক্ষেত্রে সমূহ বিপদ হতে পারে। রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রার দিকে নজর দিতে হবে। কারণ এটি বেড়ে গেলে অন্য অসুখ থেকে সেরে ওঠা মুশকিল।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস: যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নতুন সংক্রমণের হারও বেশি। এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান। ফলে নজর দতে হবে সে দিকেও।