দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নিলেন বিল এবং মেলিন্ডা গেট্স। ফাইল চিত্র
১৯৮০ সালে প্রথম তাঁদের মাইক্রোসফ্টের দফতরে দেখা হয়েছিল। দীর্ঘ ২৭ বছরের বিয়ে। বুধবার দু’জনে টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন। ‘জুটি হিসেবে আমাদের আর কোনও বৃদ্ধি হচ্ছে না। অনেক চিন্তাভাবনা এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করার পর আমরা এই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’, টুইট করেছেন দু’জনেই। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, পেশাগত ভাবে ভবিষ্যতে আগের মতোই একসঙ্গে কাজ করে যাবেন তাঁরা।
প্রায় তিন দশকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সাধারণত কোন জায়গায় অমিল তৈরি হয় দু’জন মানুষের মধ্যে? কোন পরিস্থিতিতে পড়ে দু’জন এমন কঠিন সিদ্ধন্ত নিতে বাধ্য হন? জেনে নিন কিছু কারণ।
যোগাযোগ
অনেকদিনের সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ থাকা, কথাবার্তা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বদলানোর ইচ্ছে। যদি দু’জনের মধ্যে একজনও এগুলি বন্ধ করে দেন, তা হলে সম্পর্ক টিকে থাকা মুশকিল। সুবিধা-অসুবিধাগুলি জানানোর পরও যখন কেউ দেখেন, সঙ্গী সেই অনুযায়ী কোনও বদলই করতে চাইছেন না, সেটাও ভাঙন ধরার একটা বড় কারণ হয়ে ওঠে।
যৌন জীবন
সুস্থ, স্বাভাবিক এবং নিয়মিত যৌন জীবন যে কোনও সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সংসারের নানা চাপ সামলাতে বিবাহের এই দিকটা অনেকেই উপেক্ষা করেন। এবং সেখান থেকেই আরও নানা সমস্যার সূত্রপাত।
অর্থ
হয়তো একজন খুব খরচে, আর একজন অত্যধিক কিপটে। কিংবা কী ভাবে টাকাপয়সা সামলানো যায়, সেটা নিয়ে দু’জনের মধ্য মতের অমিল। শুনতে যতই খেলো মনে হোক, অর্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে যে কোনও সম্পর্কে।
পরকিয়া
একবার বিশ্বাসভঙ্গ হয়ে গেলে সেটা ফের আগের মতো হওয়া মুশকিল। একটি সম্পর্কে থাকাকালীন অনেকেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যান। কিন্তু সত্য সামনে আসার পর আগের সম্পর্কে তার যে প্রভাব পড়ে, সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠতে পারে।
চিন্তাধারা
সময় অনেক মানুষকে পাল্টে দেয়। হয়তো জীবনে এমন কিছু কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে যে, সব কিছু আগের মতো মনে হচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে দু’জন মানুষও অনেক পাল্টে যেতে পারেন। তাঁদের আগে যে জিনিসগুলি একসঙ্গে করতে ভাল লাগত, সেগুলি এখন হয়তো বদলে গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের আর মেলাতে পারছেন না। কোনও জিনিসই আর একসঙ্গে করতে ভাল লাগছে না। কিংবা একসঙ্গে চলা মুশকিল হয়ে পড়ছে। দু’জনের জীবনযাপন, চিন্তাধারা এতটাই আলাদা হয়ে উঠেছে যে, কিছুতেই আর এক ছাদের নীচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।