সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে গেলে হাতটা কেমন যেন কেঁপে ওঠে। ছবি- সংগৃহীত
পড়াশোনার পাট চুকে গিয়েছে কোন কালে। তবু সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে গেলে হাতটা কেমন যেন কেঁপে ওঠে। যদি কোনও ক্ষতি হয়? আদৌ কি হয়? কৃষিপ্রধান দেশে মরসুমি যাবতীয় ফল বা ফসল ঈশ্বরকে নিবেদন করে, তার পরই খাওয়ার রীতি। নতুন ধান উঠলে যেমন নবান্ন উৎসব হয়, তেমন সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার পিছনেও এটিই কারণ।
লোকমুখে প্রচলিত এক কাহিনি জানায়, দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে মহামুনি ব্যাসদেব তপস্যা করতে বসেছিলেন। তপস্যা শুরু করার আগে একটি কুলের বীজ রেখে মা সরস্বতী বলেছিলেন, যত দিন না এই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে, সেখান থেকে গাছ বড় হচ্ছে তত দিন তপস্যা চালিয়ে যেতে হবে। সেই গাছ থেকে একটি পাকা কুল যে দিন ব্যাসদেবের মাথায় এসে পড়বে, সে দিনই তপস্যা ভঙ্গ করা যাবে। সেই নিয়ম মেনেই একদিন তপস্যারত ব্যাসদেবের মাথায় হঠাৎ করে সেই গাছ থেকে পাকা কুল এসে পড়ে। ঘটনাচক্রে সেই দিনটি ছিল বসন্ত পঞ্চমী। অবশ্য এ সব নেহাতই কিংবদন্তি।
শীত থেকে গরম পড়ার মুখে বসন্তের হাওয়ায় মনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়াতেও নানা রকম পরিবর্তন হয়। এই সময় চারিদিকে গুটি বসন্তের প্রকোপ বাড়ে। এ ছাড়াও কাঁচা কুল খেয়ে পেটের রোগ, ঠান্ডা লেগে জ্বর, সর্দি, কাশি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই ছোটদের এক রকম ভয় দেখিয়েই কুল খাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।