বন্য প্রাণীর বাজার বন্ধের দাবি তুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ছবি: সংগৃহীত
জীবন্ত বন্যপ্রাণী কেনাবেচার সময়ে ছড়াতে পারে নানা ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ। তাই সব দেশের কাছে জীবন্ত বন্যপ্রাণী কেনাবেচা বন্ধ করার আবেদন জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মঙ্গলবার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, খাবারের প্রয়োজনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা প্রাণী বাজারে বিক্রি করলে, তার থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার মতো আরও অনেক ভাইরাসই।
কেন এমন কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? দীর্ঘ দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, খাবারের প্রয়োজনে অচেনা পরিবেশ থেকে কোনও বন্যপ্রাণীকে ধরে আনলে তার সঙ্গে এমন বহু জীবাণুই চলে আসে, যার সঙ্গে আগে মানুষের কোনও পরিচয় ছিল না। শুধু তা-ই নয়, নানা ধরনের পরিবেশ থেকে ধরা প্রাণীদের একই বাজারে পাশাপাশি রেখে বিক্রি করা হলে, তাদের পরস্পরের শরীরে থাকা জীবাণুরও আদানপ্রদান হয়। জীবাণুরা সেখানেই নিজেদের রূপবদল বা ‘মিউটেশন’ ঘটিয়ে নতুন চেহারা নেয়। পরিব্যক্তির ফলে জন্ম নেওয়া জীবাণুর এই নতুন রূপটি মানুষের জন্য আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
করোনাভাইরাস কী ভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। অনেকের মতে, চিনের বাজারে বিক্রি হওয়া বাদুর থেকে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না জানালেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, খাবারের প্রয়োজনে অচেনা পরিবেশ থেকে সংক্রমিত জীবন্ত প্রাণী ধরে আনলে তাদের থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে কোভিডের মতো নতুন ধরনের সংক্রমণ।
এমন কিছু হলে ভারতে মাছ-মাংসের বাজার বা পোষ্য বাজারের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় নানা মহল। যদিও ভারত সরকারের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।