বাড়তে পারে মদ এবং মিষ্টি পানীয়ের দাম? ছবি: সংগৃহীত।
অ্যালকোহল এবং মিষ্টিজাতীয় সমস্ত রকম পানীয়ের উপর কর বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের সব দেশেই মদ এবং মিষ্টি পানীয়ের উপর বর্তমান করের হার পর্যালোচনা করে, মঙ্গলবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এই সংস্থা (হু)। সেখানে বলা হয়েছে, অস্বাস্থ্যকর এই সব পানীয়ের উপর করের হার খুবই কম। ইউরোপের বেশ কিছু দেশে ওয়াইনের উপর কোনও করই নেই।
বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষ মদ্যপানের কারণে মারা যান। ৮০ লক্ষের মৃত্যু হয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসে। তাই করের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে এই সংক্রান্ত রোগভোগে মৃত্যুর হার হ্রাস পাবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে হু। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেল্থ প্রোমোশন ডিরেক্টর, চিকিৎসক রাডিগার ক্রেচ বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপর কর ধার্য করলে যদি মানুষের হুঁশ ফেরে। শুধু স্বাস্থ্যই নয়, সমাজের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি মানুষ একটু সচেতন হন। মদের উপর করের পরিমাণ বাড়লে রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কিংবা ট্র্যাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে বলে মনে হয়।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশেই পানীয় জলের উপর কর দেওয়ার চল রয়েছে। যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি, বিশ্বের ১০৮টি দেশে চিনি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পানীয়ের উপর কর নেওয়ার দেওয়ার চালু করেছে। মদ্যপানের কারণে মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে ২০১৭ সালে লিথুয়ানিয়া অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের উপর করের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে এই সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুর হার দু’বছরে ২৩.৪ শতাংশ থেকে ১৮.১ শতাংশে নেমে আসে। তা ছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সমস্ত পানীয়ের উপর ধার্য করা কর, অ্যালকোহল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকেও তুলনায় স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে উৎসাহ দেয়। মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা বাড়লে ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হার্ট এবং স্থূলত্বের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।