হিং-এর দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
নিরামিষ রান্নায় হিং দেওয়ার চল বহু পুরনো। নিরামিশ বিউলির ডাল থেকে কচুরি— একটু হিঙের ছোঁয়া না থাকলেই নয়। পুরনো কলকাতায় কাবুলিওয়ালাদের আনাগোনা ছিল বিশেষ এই মশলাটির জন্য। রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি নানা রোগ ব্যাধি সারাতেও হিঙের জুড়ি মেলা ভার। হিঙে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই মশলা। পাশাপাশি ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে। তা ছাড়া শীতকালে হিঙের ছোঁয়া শরীরকে উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে।
শরীরের আর কী কী উপকার করে হিং দেওয়া পানীয়?
১) ওজন নিয়ন্ত্রণ
হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলার মোক্ষম দাওয়াই হল হিংয়ের জল। হজম প্রক্রিয়া ভাল হলে তবেই বিপাকক্রিয়া ভাল হয়। ফলে ওজনের উপর তার প্রভাব পড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপার মতো সমস্যায় আরাম দেয় এই পানীয়।
২) প্রদাহ নাশ করতে
শরীরে কোনও ভাবে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ বাড়লে ওজন কমানো মুশকিল হয়। প্রদাহের সঙ্গে বিপাক সংক্রান্ত রোগ এবং স্থূলত্বের নিবিড় যোগ রয়েছে। হিংয়ের মধ্যে প্রদাহ কমানোর মতো উপদান রয়েছে। হিংয়ের জল এই ধরনের সমস্যায় দারুণ কাজ করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে হিং। ছবি: সংগৃহীত।
৩) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে হিং। রক্তে হঠাৎ ইনসুলিন হরমোনের ওঠা-নামা শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই ভারসাম্য বজায় রাখা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।
কী ভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়?
১) প্রথমে একটি পাত্রে জল ফুটতে দিন।
২) এ বার সামান্য পরিমাণ হিংয়ের গুঁড়ো দিয়ে দিন ফুটন্ত জলে।
৩) গ্যাস বন্ধ করে পাত্রটি কিছু ক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন।
৪) ছাঁকনি দিয়ে সেই জল ছেঁকে নিন।
৫) চাইলে ওই পানীয়ের মধ্যে সামান্য মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মেশাতে পারেন।