টুইটারে নানা জনের আনাগোনা। তার মধ্যেই হাত বদলের সঙ্কেত। তা-ও আবার অতি বিতর্কিত এক ব্যক্তি, ইলন মাস্ক হবেন টুইটার-কর্তা। কিন্তু তিনি কি টুইটারের অনুগামীদের কাছেও জনপ্রিয় নন?
অনেকের বক্তব্য ইলন মাস্ক তেমন জনপ্রিয় নন। কিন্তু জানেন কি টুইটারে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা কত? ৮ কোটি ৪৮ লক্ষ। গোটা বিশ্বে এবং ভারতে আর কারা ইলনের মতো এগিয়ে আছেন টুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে।
টুইটারে সর্বাধিক অনুগামী অবশ্য রয়েছে অন্য আর এক জনের। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইলন যত বেশি বিতর্কিত টুইটারে, তাঁর ভাবমূর্তি একেবারেই তেমন নয়। তবু অনুগামীর সংখ্যা আকাশছোঁয়া। সবার চেয়ে বেশি। শুনলে অবাক হবেন ১৩ কোটি ১৭ লক্ষ জোড়া চোখ নজরে রাখে তাঁকে।
বাঙালিদের অতি পছন্দের আরও এক জনের ভক্ত সংখ্যাও ইলনের চেয়ে বেশ বেশি। বিশ্বের বহু তারকাকে গোল দিয়ে ৯ কোটি ৯ লক্ষ ফলোয়ার শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।
বাঙালির প্রিয় খেলোয়াড় থাকলেই তো হল না, তালিকায় দেখতে ইচ্ছা করে নিজের দেশের কাউকে। খেলোয়াড়-অভিনেতা নয়। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক অনুগামী রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সংখ্যাটি ৭ কোটি ৮২ লক্ষ। টুইটারে জনপ্রিয় ৫০-এর তালিকায় আমেরিকার দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া রয়েছে শুধু ভারতের নরেন্দ্র মোদীর নাম। আর কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নেই সেই তালিকায়। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট অবশ্য ২০২১ সালের আমেরিকার ক্যাপিটল হামলার পর থেকে চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আর কোনও নেতা না থাকলে কী হবে, তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের দুই অধিনায়ক। উপরের দিকে অবশ্যই রয়েছেন বিরাট কোহলী। ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ অনুগামী তাঁর।
এমন কয়েক জন তারকা আছেন, যাঁদের জন্য ভারতকে আলাদা ভাবে ঈর্ষা করে কোনও কোনও দেশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। টুইটারে তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও সে কথাই বলে। অঙ্কটি ৩ কোটি ৭২ লক্ষ।
‘শাহনশাহ’ সবেতেই এগিয়ে থাকেন। টুইটারও ব্যতিক্রম নয়। অমিতাভ বচ্চনের অনুগামীর সংখ্যা ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ। হলিউডের অতিজনপ্রিয় নায়কদেরও এত অনুগামী নেই।
অনেকে বলেন, টুইটার বলে দেয় আসলে কত জনপ্রিয় কোন ব্যক্তি। কার দিকে কত বেশি মানুষ নজর রাখে। যেমন অনেকেই শুনলে অবাক হবেন, অমিতাভের পরেই অভিনেতাদের তালিকায় রয়েছে অক্ষয় কুমারের নাম। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ।
৪ কোটির বেশি অনুগামী রয়েছে বলিউডের ‘ভাইজান’-এরও। টুইটারে অভিনেতা, শিল্পী তো বটেই, সঙ্গে মানবদরদী বলেও পরিচয় দেন সলমন খান।
বলিউডের ‘বাদশাহ’ আবার আলাদা করে নিজের কোনও পরিচয় দেন না টুইটারে। শাহরুখ খানের কি আর পরিচয় লাগে? লাগলে কি আর তাঁকে ৪ কোটি ২০ লক্ষ জনতা চোখে চোখে রাখত।
বিশ্বের প্রথম ৫০-এর তালিকায় না থাকলেও বলি নায়কদের মধ্যে টুইটার অনুগামীর সংখ্যায় বেশ এগিয়ে আর এক জন। সেই ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’-এর সময় থেকে জনপ্রিয়তা কমেনি যে হৃত্বিক রোশনের, তা বলে দেয় তাঁর ৩ কোটি ১৫ লক্ষ অনুগামী।
তবে এ দেশের বলি-নায়কদের চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি জগতের এক নায়ক। বিল গেট্স। তিনি কী করলেন, কী বললেন, তা জানতে টুইটারে চোখ রাখেন ৫ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ।
মহিলারা বুঝি প্রথম সারিতে এ ক্ষেত্রেও জায়গা পাননি? এমন একেবারেই নয়। আমেরিকার সুন্দরী কিম কার্দাশিয়ানের ভক্ত সংখ্যা কত জানেন? ৭ কোটি ২১ লক্ষ।
এ দেশের নায়িকারা কম যান না। ইনস্টাগ্রামে যেমন নানা রঙের পোশাকে ছবি দিয়ে অনুরাগীদের নজর কাড়েন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, তেমনই তাঁর টুইটারের পর্দাতেও চোখ রাখেন প্রায় তিন কোটি অনুগামী।
অনেকে মনে করবেন প্রিয়ঙ্কা এখন বিদেশে থাকেন, বিদেশি গায়কের স্ত্রী— তাই বুঝি তাঁর এত অনুরাগী। এ সব কথাই ভুল প্রমাণ করে দেয় দীপিকা পাড়ুকোনের অনুগামীর সংখ্যা। কারণ, সে সব ছাড়াও তিনি যে পিছিয়ে নেই মোটেই। আর কিছু দিনেই তিন কোটি ছাড়াবে তাঁর টুইটারের ভক্ত তালিকাও।